নিজের সেরা ছন্দে না পৌঁছেও বেঙ্গালুরু ম্যাচে সেরা সন্দেশ, ধন্যবাদ জানালেন দলের কোচিং স্টাফদের

এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক : টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। ওড়িশার সাথে ড্র করার পর প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তাদের লিগ শিল্ড জয়ের। কিন্তু রবিবার বেঙ্গালুরু ম্যাচে ২-০ গোলে জেতার পর প্রথম চার কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিল্ড জয়ের স্বপ্নও উঁকি দিচ্ছে সবুজ মেরুন শিবিরে। বেঙ্গালুরু ম্যাচে ক্লিনশীট রাখার অন্যতম কারিগর হলেন মরশুমের মাঝপথে আশা সন্দেশ ঝিঙ্গান। দুর্দান্ত খেলেন তিনি। সেই সন্দেশ ম্যাচের পর এটিকেএমবি মিডিয়াকে জানালেন এই ভালো খেলার রহস্য।
তিনি বলেন,"ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। কারণ প্রতিযোগিতার মাঝপর্বে আমি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম। আমার ক্রোয়েশিয়ায় খেলতে যাওয়ার দিনগুলোর মতোই কঠিন ছিল দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। কোয়ারেন্টাইন, কোভিডের হার্ডল পেরিয়ে ফের মাঠে নিজের সেরা ফিটনেশে পৌঁছোনোটা কঠিন ছিল। দলের কোচিং স্টাফ, কোচ এবং সহযোগী ফুটবলারদের সাহায্য এবং সহযোগিতার জন্যই আমি ফিরতে পেরেছি। ওদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সেজন্যই ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা আমি স্ত্রী, পরিবারের পাশাপাশি দলকেও উতসর্গ করতে চাই।
আমরা যে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে খেলতে নেমে গোল অক্ষত রেখে ফিরতে পেরেছি তার কৃতিত্ব আমার একার নয়। আমি এবং তিরি ফের মানিয়ে নিয়েছি ঠিক, কিন্তু অন্যরা সেরাটা না দিলে এটা সম্ভব হত না। লিস্টন, মনবীরররা গোল না করলে আমরা তো ম্যাচটা জিততামও না। রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস বড় মানের ফুটবলার। ওদের আমরা বেঙ্গালুরু ম্যাচে পাইনি। যাঁরা নেমেছিল তারাও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
আমি এখনও সেরা ফিটনেসে পৌঁছতে পারিনি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি কীভাবে নিজেকে আরও উন্নত করা যায়। যদি চ্যাম্পিয়ন না হতে পারি তাহলে ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কোনও দাম থাকবে না। আমরা ট্রফি এবং শিল্ড দুটোই জিততে চাই। সেই লক্ষ্যেই এগোতে চাই। তবে কাজটা বেশ কঠিন। কারণ লড়াইতে অনেকগুলোও ভাল দল আছে।'