হালান্ডের সতীর্থ, সোল্কজায়েরের শিষ্য - লাল-হলুদের আক্রমণের নয়া ভরসা ড্যানিয়েল চিমাকে চিনে নিন

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার এসসি ইস্টবেঙ্গল ঘোষণা করে, এক বছরের চুক্তিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলে আসছেন নাইজেরীয় ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল চিমা। এক সময়ে নাইজেরীয় আর এক চিমা দাপিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের হয়ে, সেই ধারা কি বজায় রাখবেন ড্যানিয়েল চিমা?
নাইজেরীয় এই ফুটবলার ইউরোপের একাধিক বড় লিগে খেলেছেন, পেয়েছেন বেশ কিছু তারকা কোচ-খেলোয়াড়কে পাশে। এছাড়া এশিয়াতে খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে চিমার। দেখে নেওয়া যাক ৩০ বছরের এই ফুটবলারের কেরিয়ার কেমন গিয়েছে।
নিজের ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন নাইজেরিয়ার বুসদোর ইউনাইটেডে। তবে প্রথম পেশাদার চুক্তিতে সই করেন ২০১০ সালে সুদূর নরওয়ের প্রথম ডিভিশনের ক্লাব লিনে। তবে ক্লাবটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে লিগের অন্য ক্লাব মলডেতে সই করেন চিমা।
২০১১ সালে ২৪ ম্যাচে পাঁচ গোল করে মলডেকে প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতান চিমা। এরপর ২০১২ ও ২০১৪ সালেও মলডের হয়ে টিপ্পেলিগায়েন (বর্তমান নাম এলিটসেরিয়েন) জেতেন চিমা। ২০১৩ সালে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন চিমা। আর সেই সময়ে মলডের হয়ে ইউরোপা লিগ খেলেছেন চিমা। বলা ভালো, মলডেতে থাকার সময় কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন ওলে গানার সোল্কজায়েরকে, যিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ।
২০১৫ সালে চিনের ক্লাব সাংঘাই সেংঝিনে যোগ দেন চিমা। সেখানে দুই মরশুম কাটানোর পর পোল্যান্ডের হেভিওয়েট দল লেগিয়া ওয়ারশয়ে যোগ দেন তিনি। তবে ইউরোপা লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যোগ্যতা অর্জন পর্বের কিছু ম্যাচ খেলেই ২০১৮ সালে আবার ফিরে আসেন মলডেতে। আর সেখানে তিনি পান আজকের সুপারস্টার ফরোয়ার্ড এরলিং হালান্ডকে।
এরপর ২০১৯ এর শেষ দিকে চিনের ক্লাব হেইলংজিয়াং লাভা স্প্রিংয়ে লোনে আসেন চিমা। ২০২০ সালে চিনের ক্লাব তাইঝৌ উয়ান্ডাতে শেষ খেলেন চিমা।
মলডের হয়ে তিনবার এলিটসেরিয়েন লিগ ও দুইবার নরওয়েজিয়ান ফুটবল কাপ জিতেছেন চিমা। এছাড়া পোল্যান্ডে লেগিয়া ওয়ারশয়ের হয়ে দুইবার এক্সত্রাকলাসা ও একবার পোলিশ কাপ জেতেন চিমা। ফলে খেতাব জয়ের অভিজ্ঞতা ভরপুর রয়েছে চিমার।