সমস্যায় জনি অ্যাকোস্টা! পিছিয়ে গেল কাশিম-নোদারের যাত্রা। কিন্তু কেন? জানতে পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রথমে ঠিক ছিল ১১ জুন একসঙ্গে নিজ নিজ দেশে ফেরার জন্য রওনা দেবেন ইস্টবেঙ্গলের দুই বিদেশি ফুটবলার জনি অ্যাকোস্টা, কাশিম আইদারা ও দলের ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার পেরেজ। সৌজন্যে এয়ার ইন্ডিয়ার 'বন্দে ভারত' বিমান পরিষেবা। তবে সেটা হল না। কাশিম (১৩ জুন) ও নোদারের (১৮ জুন) বিমানের টিকিট কনফার্ম হয়ে গেলেও, এখনও দেশে ফেরার টিকিট হাতেই পেলেন না কোস্টারিকার বিশ্বকাপার। যা নিয়ে ক্ষোভ জনি'র ক্ষোভ বাড়ছে।
ওদের বেতন থেকে শুরু করে দেশে ফেরানো। সবটাই সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিনিয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বের মধ্যে ছিল। তবে সেটা আর হল কোথায়!বরং এই তিন বিদেশির দেশে ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকেই করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ক্লাবের তরফ থেকে একজন এজেন্টের মাধম্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও পর্যটন বিভাগের আধিকারিকদের দপ্তরে এই তিন বিদেশির সমস্ত কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু জনি'র টিকিট পাওয়া নিয়ে এত সমস্যা কেন? এমনিতে ভারত থেকে কোস্টারিকার সরাসরি কোনও বিমান পরিষেবা নেই। তাই ঠিক হয়েছিল ১৮ কিংবা ২২ জুনের বিমানে তাঁকে চাপিয়ে দেওয়া হবে। কলকাতা থেকে মুম্বই হয়ে আমেরিকার ওয়াসিংটনে পৌঁছবেন তিনি। সেখান থেকে দেশে যাওয়ার বিমান ধরার কথা ছিল নেইমারের ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গত বিশ্বকাপে খেলা এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের। কিন্তু সমস্যা হল, ওয়াসিংটন থেকে কোস্টারিকা যাওয়ার কোনও কানেক্টিং বিমান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কোভিড-১৯'এর এমন ভয়াল পরিস্থিতিতে তাঁকে তিন-চারদিনের জন্য আমেরিকায় রাখা সম্ভব নয়। তাই ক্লাব কর্তৃপক্ষ জনি'র টিকিটের ব্যবস্থা এখনও করতে পারেনি।
পুরো ব্যাপারটায় ক্লাবের কোনও দোষ না হলেও কোস্টারিকার বিশ্বকাপারের ক্ষোভ কিছুতেই কমছে না। বুধবার তিনি এক্সট্রাটাইম'কে বলেন, "বেতন না পাওয়ার জন্য ক্ষোভ থাকলেও এখানে বসে থাকার পাত্র আমি নই। তাই মারিও-কোলাডো'দের সঙ্গেই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু টিকিট নেই এমন অজুহাত দিয়ে আমাকে কলকাতায় রেখে দেওয়া হল। এখনও সেই অজুহাতের পালা চলছে। এবং গোটা ব্যাপারটা আমার কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর।"
এদিকে আগামী ১৩ জুন কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লি উড়ে যাবেন কাশিম। সেখানে রাত কাটিয়ে ১৪ জুন সকালে দেশের রাজধানী থেকে লন্ডন যাওয়ার বিমান ধরবেন এই মিডফিল্ডার। ১৮ জুন কলকাতা থেকে মুম্বই যাওয়ার বিমান ধরবেন নোদার। সেখানে রাত কাটিয়ে ১৯'এর সকালে মুম্বই থেকে ফ্রাঙ্কফ্রুট উড়ে যাবেন তিনি। জার্মানির এই শহর থেকে মাদ্রিদের বিমান সেদিন রাত ৯'টার সময়।