ক্ষুব্ধ ম্যানেজার। এখন অ্যাকোস্টার আশ্রয়স্থল দিল্লির কোস্টারিকান দূতাবাস...

নিজস্ব প্রতিনিধি: সত্যি বোধ হয় এই প্রাপ্যটা ছিল না জনি অ্যাকোস্টার। তাঁর ব্যাপারে সবাই এখন হাত ধুয়ে ফেলছে। কেউ তাঁর দায়িত্ব নিচ্ছে না। না কোয়েস। না ক্লাব। বরং একে-অপরের দিকে আঙুল তুলছে। তাঁর ব্যাপারে অদ্ভুত উদাসীনতা দেখাচ্ছে উভয় পক্ষই। অথচ কারও একটা মনে হচ্ছে না, তাঁকে দায়িত্ব নিয়ে আগে দেশে ফেরানো উচিত। তারপর কে দোষী, আর কে নির্দোষ-- বিচার করা যাবে। তাঁকে কোস্টারিকা থেকে আনা এবং দেশে ফেরানোর বিমানের টিকিট তো কোয়েসের বা ক্লাবেরই ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা। অথচ তিনি কোয়েসের থেকে দু মাসের বেতন না পেয়ে নিজের টাকায় দেশে ফিরে যাচ্ছেন। একরাশ ক্ষোভ আর বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে।
তাও এখনও দেশে ফিরতে পারেননি। কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে এখন কোস্টারিকান দূতাবাসে আছেন। শনিবার দিন যাওয়ার কথা তাঁর।
এই নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জনি অ্যাকোস্টার ম্যানেজার জোস লুইস রডরিগেজ। তিনি মনে করেন তাঁর মক্কেলের সঙ্গে যে ব্যবহারটা করা হল, সেটা তাঁর প্রাপ্য ছিল না। সে কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ দুটি বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলার। তাঁকে কিনা থাকতে না দিয়ে, দু মাসের বেতন না দিয়ে, এমনকি বিমানের টিকিট না দিয়ে চূড়ান্ত অশ্রদ্ধা করা হল। এটা ঠিক না।
অ্যাকোস্টার ম্যানেজারের এখন প্রথম কাজ হল, অ্যাকোস্টাকে দেশে ফেরানো। তারপর তিনি তাঁর বেতন নিয়ে লড়াই চালাবেন। দরকারে ফিফায় যাবে। আইনজীবীরা এই বিষয়টা দেখছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজে তিনটে ম্যাচ খেলার পর ৩৬ বছর বয়সী কোস্টারিকান বিশ্বকাপার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এক মরশুম খেলেন, এবং তাঁর ভাল লেগে যায় পরিবেশ পরিস্থিতি। ফলে চলতি মরশুমে তাঁকে আই লিগে মাত্র দু মাসের জন্য ডাকা হলেও তিনি আবার লাল-হলুদের ডাকে চলে আসেন। কিন্তু লিগ বাতিল হতেই তাঁর সঙ্গে শুরু হয় কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা।