কেবল এই উপায়েই ফিফার ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে পারবে ইস্টবেঙ্গল ও কেরালা ব্লাস্টার্স

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এমনটা হওয়ারই ছিল। কোয়েস জমানার বেশ কিছু খেলোয়াড়ের বেতন বাকি রেখে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এদিকে বেতন বাকির অভিযোগ ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। এবার ফিফার তরফ থেকে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেল এই দুই বড় ক্লাব।
আন্দাজ করা হয়েছিল, কার্লোস নোদার কিংবা কোলাডোর আবেদনে এই শাস্তি পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তা নয়। আদতে বিশ্বকাপার জনি আকোস্টার পুরো বেতন না মেটানোয় এই শাস্তি পেল ইস্টবেঙ্গল। একই ভাবে মাটেজ পোপলাটনিকের বেতন না দেওয়ায় এই শাস্তি পেল কেরালা ব্লাস্টার্স।
এই নিষেধাজ্ঞার জেরে ঘরোয়া কোনও নয়া ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না এই দুই ক্লাব। তবুও কেরালা ব্লাস্টার্সের দলগঠন কার্যত ঠিকই আছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল, বলা বাহুল্য এসসি ইস্টবেঙ্গলের অধিকাংশ ফুটবলার বর্তমানে চুক্তিহীন এবং ফাইনাল এগ্রিমেন্ট সই না হওয়ায় তাদের চুক্তিবৃদ্ধি নিয়েও কোনও আগ্রহ দেখানো হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে সমর্থকদের মনে একটাই প্রশ্ন, কিভাবে এই ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞাকে কাটিয়ে ওঠা যায়। এর উত্তরও দিয়েছে ফিফা। এই নিষেধাজ্ঞা তখনই উঠে যাবে যখন এই দুই খেলোয়াড়দের তাদের বকেয়া সমস্ত বেতন দিয়ে দেবে কেরালা ব্লাস্টার্স ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
তবুও না হয় কেরালা ব্লাস্টার্স এই সমস্যার সমাধান করে নেবে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল? জনি আকোস্টার বেতনের দায়ভার ছিল তৎকালীন ইনভেস্টর কোয়েসের, কারণ সেই সময় স্পোর্টং রাইটস ছিল কোয়েসের হাতে। কিন্তু নানা ঝামেলার জেরে স্পোর্টিং রাইটস ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে দেওয়া হলেও খেলোয়াড়দের বকেয়া বেতন দেয়নি কোয়েস।
আর এর জেরে খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফের বেতনের দায়ভার এসে পড়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উপর। এদিকে কোয়েস জমানার কোনও দায়ভার নিতে রাজি নয় শ্রী সিমেন্ট, আর ফাইনাল এগ্রিমেন্ট নিয়ে টালবাহানার সময়ে এই ঝামেলা মেটানোর কোনও উদ্যোগই নেবে না, তা স্পষ্ট। ফলে পুরো অর্থই নিজেদের পকেট থেকে খরচ করতে হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে। নইলে টুর্নামেন্ট খেলা তো দূর, খেলোয়াড় সই করানো নিয়ে ঝামেলায় থাকবে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব।