রুদ্ধশ্বাস সেমি ফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। চার বছর আগে, ২০১৯-এ গোকুলাম কেরল এফসি-র কাছে টাইব্রেকারে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এদিন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও শেষ হাঁসি হাসল ইস্টবেঙ্গল। সৌজন্যে নন্দ কুমার ও গোলকিপার প্রভসুখন গিল। নির্ধারিত সময় খেলার ফল ২-২ হয়। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার জেতে ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধে বল নিজেদের দখলে রাখলেও ইস্টবেঙ্গলকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল ০-১ গোলে। মিগুয়েল জাবাকো ২২ মিনিটের মাথায় ফাল্গুনি সিংয়ের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মিগুয়েল জাবাকো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিশু কুমারের জায়গায় সৌভিক চক্রবর্তী ও পারদোর জায়গায় বোরহা হেরেরাকে নামান কোচ কুয়াদ্রাত। ৫৭ মিনিটে ফাল্গুনির বাঁ পায়ের শটে গোল করে নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন ০-২ গোলে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন এই ভারতীয় তারকা!
৭৭ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল প্রথম গোলটি পায়। দৌড়ে এসে বল নাওরেম মহেশের দিকে বাড়ান ক্রেসপো। মহেশের শট দীনেশের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। নর্থইস্ট এই আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়তেই সমতা ফেরানোর মরিয়া লড়াই শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ৯০ মিনিটে যখন নর্থইস্ট এগিয়ে ২-১ গোলে তখন ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেন রেফারি। শেষ বাঁশি বাজার সামান্য আগেই নন্দ কুমারের গোল অক্সিজেন দেয় লাল হলুদকে। ক্লেইটনের শটে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন নন্দ।
এরপর টাইব্রেকারে প্রভসুখন গিল রুখে দিয়েছিলেন পার্থিব গোগোইয়ের শট। কিন্তু তাঁর অবস্থান ঠিক না থাকায় পার্থিব আরও একটি সুযোগ পান। চাপের মুখে সেটি বারে লেগে ফিরে আসে। লাল হলুদ ফুটবলারদের সকলেই পেনাল্টি শ্যুটআউটে গোল করেছেন। ফলে টাই ব্রেকারে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল।