ডার্বি অতীত! মাছিন্দ্রা এফসিকে হারিয়ে এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়াই লক্ষ্য জুয়ান ফেরান্দোর

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ গত শনিবার ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ১-০ ফলাফলে পরাজিত হয় মোহনবাগান। আগামী ১৬ আগস্ট এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে নেপালের মাছিন্দ্রা এফসির বিরুদ্ধে খেলবে জুয়ান ফেরান্দোর দল। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সবুজ মেরুন কোচ জানিয়েছেন ডার্বি এখন অতীত, বর্তমানে তিনি শুধু মাছিন্দ্রা এফসি ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রথমেই জুয়ান বলেছেন, "অবশ্যই এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, তাই সহজ হবেনা। মাছিন্দ্রা শেষ ম্যাচ জিতেছে। মাছিন্দ্রা অনেক আক্রমণাত্মক দল।"
আরও পড়ুন- বিদেশে খেলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা AIFF-এর
মোহনবাগান কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এএফসি কাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে জুয়ানকে প্রশ্ন করা হলে জুয়ান বলেন, "সঞ্জীব গোয়েঙ্কা চান সব ট্রফি জিততে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমাদের জন্য আগামী ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি খুব সহজ হবেনা।"
ডার্বিতে হার এবং সেই ম্যাচ থেকে কী শিক্ষা নিলেন মোহনবাগান কোচ? জুয়ান জানিয়েছেন, "আমরা হয়ে যাওয়া ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারবনা। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"
এএফসি কাপে প্রথম একাদশ এবং দলের কম্বিনেশন নিয়ে জুয়ান বলেছেন, "আমার দলে সকলেই ভালো খেলোয়াড়। আমাদের অজুহাত দেওয়ার জায়গা নেই। দিনের পর দিন অনুশীলন করে আমাদের ফোকাস রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী ম্যাচ জেতাই আমাদের টার্গেট। আজ ও কাল অনুশীলনের পর সেরা একাদশ নামানোর চেষ্টা করব। মাছিন্দ্রা এফসিকে হারিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রাখতে গিয়ে বিপাকে বিসিসিআই
এর সাথে তিনি বলেছেন, "আমরা অবশ্যই কিছু ভুল করেছি। আর সেই কারণেই আমরা আরও পরিশ্রম করছি। আমরা আমাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুল গুলি শুধরে নেওয়া।"
মোহনবাগান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হাবাসের সাথে কথোপকথনের বিষয় জুয়ান বলেছেন, " আমরা সব সময়েই ফুটবল এবং ফুটবলারদের উন্নতির বিষয় আলোচনা করি। ক্লাব একটি পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে অবশ্যই আমাদের তা অনুসরণ করার চেষ্টা করতে হবে। টিডি চেষ্টা করছেন দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার।"
দলের দেশি-বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে সবুজ মেরুন হেড কোচ বলেছেন, "আমি আনোয়ারকে দিল্লি থেকে চিনি। আমার দলের জন্য সে আদর্শ। পজিশন ফুটবলের জন্য অবশ্যই সকল খেলোয়াড়ের মতোই তাকেও আরও উন্নতি করতে হবে। তিনি আরও উন্নতি করতে পারেন। ভারতের সেরা ৩ সেন্ট্রাল ব্যাকের একজন। জেসন কামিংস, সাদিকুদের সময় লাগবে মানিয়ে নিতে। আমি জানি সকলেই জেসন, সাদিকু নিয়ে উৎসাহিত, কিন্তু তাদের আরও অনুশীলন করতে হবে। আগেরদিন কামিংস ২০ মিনিট খেলেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দলের পদ্ধতি বোঝা। ভারতে এসে তাঁর জীবনে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। ধীরে ধীরে মানিয়ে নেবেন।"
এর সাথে তিনি যোগ করেছেন, "বিদেশির পাশাপাশি দেশি ফুটবলাররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কিয়ান দিমিত্রির থেকে ভালো খেলেন তাহলে আমি তাকেই খেলাব। তাই আমি সেরা ১১ কেই নামাবো। দেশি-বিদেশি দেখে নয়।"