শিক্ষানবিশের মত খেলা টিম ইন্ডিয়ার, বেলারুশের কাছে শিক্ষণীয় হার ভারতের মেয়েদের

ভারত – ১ (সঙ্গীতা বাসফোরে)
বেলারুশ – ২ (শুপ্পো নাস্তাসিয়া - পেনাল্টি, পিলিপেঙ্কা হানা)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : উজবেকিস্তানের কাছে লড়াকু হারের পর, তার থেকেও বেশি শক্তিশালী বেলারুশের বিরুদ্ধে কি ভঙ্গিতে নামবে ভারতীয় মহিলারা, সেটিই দেখার ছিল। কিন্তু শুরু থেকে যে ভালো ফুটবলের নজির দেখিয়েছিল মেইমল রকির মেয়েরা, ধীরে ধীরে বেলারুশের দুর্দান্ত পাসিং ফুটবলে তা দূর হয়ে গেল।
শুরুতে ভারত দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। খেলার পাঁচ মিনিটে সৌম্যার দুরপাল্লার শট ক্রসবারে গিয়ে, কিন্তু এরপর কাছ থেকে ভারতের এক ফুটবলার হেড মারলে তা বাইরে চলে যায়। এরপর বেলারুশ ধীরে ধীরে নিজেদের পাসিং ফুটবল ধরে নেয়। দারুণ ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণ তৈরি করছিলেন বেলারুশের মেয়েরা। এদিকে কাউন্টার অ্যাটাকের অপেক্ষায় একেবারে ডিফেন্সিভ মোডে গিয়েছিল ভারত। এর জেরে প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে বেলারুশের খেলা যেন আরও উন্নত হয়, আর ভারতের ডিফেন্স ভুল করতেই থাকে। আর সেই ভুলের মাশুল গুনল ৬৩ মিনিটে। বক্সের মধ্যে বেলারুশের খেলোয়াড়কে ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে বসে ভারত। আর সেখান থেকে গোলকিপার অদিতি চৌহানকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি শুপ্পো নাস্তাসিয়া। এরপর ৭৬ মিনিটে একেবারে ছিন্ন বিচ্ছিন ভারতীয় ডিফেন্সকে টার্গেট করে গোল করে্ন পিলিপেঙ্কা হানা।
তবে একেবারে শেষ মিনিটে সম্মান কিছুটা ফিরিয়ে আনে ভারত, আর বেশ দুর্দান্তভাবেই ফিরিয়ে আনে। সঙ্গীতা বাসফোরে প্রায় ৩৫ গজ থেকে একটি শট মারেন, যা বুঝতেই পারেননি বেলারুশের গোলকিপার, এবং তা গোলে ঢুকে যায়। শটটি গোল হবে, ভাবতেও পারেননি সঙ্গীতা। তবে শেষ অবধি আবারও হারল ভারত।
কিন্তু উজবেকিস্তানে এই দুটি প্রীতি ম্যাচ নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। কোচ মেইমল রকি চাইবেন যাতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সাথে আরও বেশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা যায়, যাতে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভালো ফল করতে পারে টিম ইন্ডিয়া।