বিসিসিআই ও আয়োজকদের এই ভুলেই আইপিএলের বলয়ে প্রবেশ করেছে করোনা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : গত ৪ মে একাধিক করোনা সংক্রমণের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল আইপিএলের চতুর্দশ সংস্করণ। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, এত সুরক্ষিত বলয় থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সেখানে প্রবেশ করল করোনা ভাইরাস? এই নিয়ে এবার নয়া তথ্য সামনে এল।
যা খবর, তাতে দিল্লি ও আহমেদাবাদে অনুশীলন ব্যবস্থাপনার ত্রুটি থেকেই সংক্রমণ বেড়েছে এবং সম্ভবত সেখানেই ভেঙেছে বলয়। এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, প্রতিটি শহরে চারটি করে দল ছিল এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুশীলনের মাঠ বরাদ্দ করা মুশকিল ছিল। এবং অনুশীলনের মাঠগুলি ছিল ঘিঞ্জি এলাকায়, যেখানে ভিড় ছিল অনেক বেশি।
এই নিয়ে বিসিসিআই এর এক আধিকারিক কার্যত আক্ষেপের সুরে বলেছেন, "এমন একটি ভাবনা এসেছে বিসিসিআই এবং রাজ্য আধিকারিকদের মনে যে দিল্লি ও আহমেদাবাদে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ নিয়ে যাওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। প্রতিটি শহরে চারটি দল ছিল এবং মূল মাঠ বাদে অনুশীলনের বাকি মাঠগুলিতে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল।"
দিল্লিতে থাকা দলগুলি, যেমন চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ঐতিহ্যশালী রোশনারা ক্লাবে অনুশীলন করেছে। সেখানে আহমেদাবাদে বাকি চার দল অর্থাৎ কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, পাঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অনুশীলন করেছিলেন গুজরাট কলেজের মাঠে।
এই দুটি মাঠই নিজেদের শহরের অত্যন্ত ঘিঞ্জি জায়গায় অবস্থিত। বিসিসিআই এর সেই আধিকারিকের মতে, ৯০ বছরের পুরোনো রোশনারা মাঠে আসতে গেলে বেশ জনবহুল জায়গা থেকে আসতে হয়েছে। এদিকে মোতেরা স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের বাকি মাঠগুলি টি২০ অনুশীলনের উপযুক্ত নয় কারণ মাঠগুলি ছোট। আর সেই কারণে গুজরাট কলেজ মাঠে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে মালি, সিকিউরিটি গার্ড ও সাধারণ মানুষের প্রায়শই আনাগোনা থাকে। আর এই কারণেই ভেঙেছে আইপিলের বলয়, মানছেন সেই আধিকারিক।