প্রোটিয়া ঝড়ে বাজিমাত করল রাজস্থান

এপ্রিল ১৫: দুই তরুণতম অধিনায়কের লড়াই , আর তাতে ব্যাট হাতে সফল হলেন একজন কিন্তু ম্যাচ শেষপর্যন্ত জিতলেন অন্যজন । ওয়াংখেড়েতে তাই ব্যাটসম্যান ঋষভ টেক্কা দিলেও , ম্যাচ জিতলেন অধিনায়ক সঞ্জু । ওয়াংখেড়েতে এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান । বিগত ম্যাচগুলিতে যে পিচ ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ বলে মনে হচ্ছিল সেই পিচই এদিন অদ্ভুতভাবে পাল্টে ফেলে চরিত্র । গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা পৃথ্বী- ধবন জুটি ব্যর্থ হয় এদিন । জয়দেব উনাদকাটের দুরন্ত বোলিংয়ে দু সংখ্যার ঘরে পৌঁছতে পারেননি প্রথম তিন দিল্লী ব্যাটসম্যান । পৃথ্বী করেন ২ , ধবন ও রাহানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন যথাক্রমে ৯ ও ৮ রানে । উনাদকাট চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন । তবে বোলারদের দাদাগিরির দিনেও অবিচল দেখায় অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে । ৩২ বলে ৫১ রানের সাবলীল ইনিংস খেলেন তিনি । কিন্তু ঋষভ রান আউট হতেই ফের বসে যায় দিল্লীর রথের চাকা। শেষ পর্যন্ত কুড়ি ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে দিল্লী ক্যাপিটালস । ভালো বল করেন মুস্তাফিজুর রহমানও । ২৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একই রকম ভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রাজস্থান রয়্যালসও । ওকস-রাবাদা-আবেশ খানের ত্রিমুখী আক্রমণে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে মরু শহরের ব্যাটিং । মাত্র চার রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গত ম্যাচে শতরান করা রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও । মাত্র ৪২ রানেই অর্ধেক রাজস্থান ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে যান । যখন ক্রমশই মনে হচ্ছে যে ম্যাচ দিল্লীর দখলে , তখনই ম্যাচের হাল ধরেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার । বেন স্টোকস আঙুলের চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় দলে সুযোগ পেয়েছেন এই প্রোটিয়া তারকা । কিন্তু প্রথম সুযোগেই নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন তিনি । যে পিচে অন্যান্য সকল ব্যাটসম্যান রানের জন্য হাতড়ে মরলেন , মিলার সেখানেই ৪৩ বলে করলেন ম্যাচ জেতানো ৬২ রান । তবে প্রোটিয়া ম্যাজিক এখানেই শেষ হয়নি । মিলার ফিরতেই ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেন এবার আইপিএলের সবচেয়ে দামি অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস । ৪ টি মোক্ষম ছক্কা সহ ১৮ বলে তাঁর করা ৩৬ রানের সুবাদে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে দু-বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস । আজকের জয়ের ফলে একদিকে রাজস্থানের অধিনায়ক হিসেবে যেমন প্রথম জয় পেলেন সঞ্জু তেমনই দুই দক্ষিণ আফ্রিকানের চওড়া ব্যাটে বেশ কিছুটা অক্সিজেন পেল রাজস্থানের ব্যাটিংও ।