রাহুল স্যারের জন্য কামব্যাক সহজ হয়েছে: কমলেশ নাগারকোটি

দেবাশিষ সেন: চোটের কারণে গত দুই মরশুম আইপিএল খেলা হয়নি। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরুণ পেসার এই মরসুমে মেলে ধরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। নাম কমলেশ নাগারকোটি। বছর কুড়ির নাগরকোটির সঙ্গে ড্রেসিংরুমে রয়েছেন তাঁর আরও দুই সতীর্থ শুভমান গিল এবং শিবম মাভি। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের কারিগর ছিলেন এই তিন তরুণ। কঠিন পরিশ্রম এবং ধৈর্যের জেরে এবারের আইপিএলে বল হাতে দেখা যাবে রাজস্থানের এই ছেলেটাকে। এক্সট্রাটাইম'কে এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন আইপিএলে তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুরন্ত গতির এই বোলার।
এক্সট্রাটাইম: চোটের কারণে গত দুই মরশুম থেকে ছিটকে যাওয়া কতটা হতাশাজনক ছিল?
কমলেশ: হ্যাঁ, হতাশা তো ছিলই। কিন্তু আমি মাঠে ফেরার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলাম। আমার শুধু একটাই সংকল্প ছিল, যে আমাকে মাঠে ফিরতে হবে। এনসিএ'তে রাহুল (দ্রাবিড়) স্যার আমায় বলেছিলেন চোট-আঘাত'কে একদম প্রশ্রয় দিওনা। চোট সেরে তোমার প্রত্যাবর্তনের পর অনেকে নানান মন্তব্য করবে। তবে তুমি শুধু বোলিংয়ের উপর জোর দাও।
এক্সট্রাটাইম: সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে তুমি প্যাট কামিন্সের উদাহরণ দিয়েছ। কেমনভাবে তিনি একটা বড় চোট অতিক্রম করে নিজেকে ফের তুলে ধরেছেন। ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা ছাড়া আর কোন কোন জিনিস আছে যা কামিন্সের থেকে গ্রহণ করবেন?
কমলেশ: আমি তাঁর (কামিন্স) সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে আছি। কারণ তিনি নিজেও চোটের পর ফিরে আসছেন। যেহেতু একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেহেতু এই মুহূর্তে আমার জন্য তাঁর থেকে ভাল উপদেষ্টা আর কেও হতে পারে না। তাঁর পরামর্শ আমার বোলিংয়ে উন্নতি ঘটাতেও সাহায্য করবে।
এক্সট্রাটাইম: রিহ্যাবে থাকাকালীন তোমার জীবনে ওঙ্কার সালভি এবং অভিষেক নায়ারের ভূমিকা কতটুকু?
কমলেশ: তাঁদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। যখন আমি মুম্বইয়ের ডি.ওয়াই প্যাটেল স্টেডিয়ামে আমার ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম, তাঁরা কেকেআর অ্যাকাডেমিতে আমার পর্যাপ্ত দেখাশোনা করেন। দুজনে আমার টেকনিকাল ত্রুটিও ধরিয়ে দেন। তারপর ম্যাচ খেলে আমার ভীষণ ভাল লেগেছিল।বোলিংয়ের সাথে সাথে আমার ব্যাটিংয়েও পরিবর্তন ঘটে। আমি তাদের থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।
এক্সট্রাটাইম: টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিগ হিটারদের সামনে বল করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
কমলেশ: যখন আমরা ক্রিকেট খেলতে এবং ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করি তখনই আমাদের শেখানো হয় কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা তুলে দিতে হয়। বিপরীতে যে ব্যাটসম্যান থাকুক না কেন! আমি মনে করি যদি কেও নিজের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে তাহলে তার জন্য খেলাটা আরও সহজ হবে। সুতরাং আমার প্রধান লক্ষ্য হবে আমার পরিকল্পনাগুলোকে সঠিকভাবে কার্যকর করা।
এক্সট্রাটাইম: শেষ প্রশ্ন। মাভি, শুভমান এবং আপনার মধ্যে কিরকম অন্তরঙ্গতা রয়েছে?
কমলেশ: আমরা একে অপরের খুব ভাল বন্ধু। এমনকি আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে থেকেই পরস্পরকে চিনি। শুভমান ও আমি একসাথে থাকতাম, একসাথে অনেক ভাল মুহূর্ত কাটিয়েছি। সেই বিশ্বকাপের আগে মাভি আমাদের সাথে যোগদান করে। আমি ফের তাদের সাথে যুক্ত হয়ে খুব খুশি। ওদের সাথে যে কোনও বিষয় নিয়ে নির্দ্বিধায় আলোচনা করা যায়।