জয় দিয়ে শুরু নাইট বাহিনীর

এপ্রিল ১১: নীতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠির চওড়া ব্যাটে ভর করে , চিপকে প্রথম ম্যাচে হায়দ্রাবাদকে দশ রানে হারিয়ে দু পয়েন্ট ঘরে তুলল কলকাতা নাইট রাইডার্স ।চিপকে এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। চেন্নাইয়ের মন্থর উইকেটেও দুরন্ত শুরু করে নাইটদের গিল-রানার নতুন উদ্বোধনী জুটি । গিল ফিরলেও প্রহার বন্ধ হয়নি । রাহুল ত্রিপাঠিকে সঙ্গে নিয়ে ৯৩ রানের লম্বা যুগলবন্দী গড়েন রানা । রাহুল ২৯ বলে করেন ৫৩ রান । রানা করেন ৫৬ বলে ৮০ । দুই আফগান স্পিনার রশিদ ও নবীর ঘূর্ণিতে কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে হায়দ্রাবাদ । তবে শেষ বেলায় কার্তিকের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারের শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স । নাইটদের মারকুটে ব্যাটিংয়ের মধ্যেও দুরন্ত বল করেন আফগান স্পিনার রশিদ । ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে গিল ও রাসেলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়ার্নার ও ঋদ্ধির উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পরে যায় সানরাইজার্স দল । হায়দ্রাবাদকে ম্যাচে ফেরান জনি বেয়ারস্টো ( ৪০ বলে ৫৫) ও মনীশ পান্ডে । তবে তাদের জুটি ভাঙতেই ম্যাচ কলকাতার পকেটে চলে আসে । ৪৪ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন মনীশ । তবে আলাদা করে বলতে হয় কাশ্মীরি যুবক আব্দুল সামাদের কথা । ব্যাট করতে নেমেই প্যাট কামিন্সের মতো বোলারকে যেভাবে ছেলে খেলার ঢঙে জোড়া ছক্কা মারলেন তাতে বোঝা গেল তাঁকে যত্ন করলে ভারতীয় টি২০ ক্রিকেটে বড় নাম হয়ে উঠতে পারেন তিনি । তবে কেন তাঁর আগে বিজয় শঙ্কর বা মহম্মদ নবীর মতো মন্থর ব্যাটসম্যানদের নামানো হল তা বোধগম্য হওয়া শক্ত । শেষ পর্যন্ত কুড়ি ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে হায়দ্রাবাদ । দিন শেষে প্রথম ম্যাচে দু পয়েন্ট নিয়ে খুশির হওয়া নাইট শিবিরে ।