এক্সট্রা টাইম নিউজ ডেস্ক : আইপিএলে বরাবরই চোকার্স বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দলে বিরাট, এ বি ডেভিলিয়ার্সের মত তাবর তাবর ব্যাটসম্যান থাকার জন্য সর্বদায সংবাদের শিরোনামে থেকেছে আরসিবি। কিন্তু দুর্বল বোলিং লাইন আপের কারণে হাতছাড়া হয়েছে একের পর এক আইপিএল ট্রফি। এমনকি গত দুই মরশুমে প্লে-অফের আগেই ব্যর্থতার শিকার হয়েছে 'কিং কোহলি'র দল।

২০১৭ থেকে অধিনায়কত্বের দায়ভার বিরাটের কাঁধে এলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি এতটুকু। কিন্তু কেন এই চোকার্স তকমা ঘোচাতে অসামর্থ ব্যাঙ্গালোর? এই বিষয়ে দু'বার আইপিএল জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর মুখ খুললেন। তাঁর মতে, "তুমি যদি অধিনায়ক হিসাবে তোমার দল নিয়ে খুশি থাকো, তাহলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তোমার দলের প্রথম এগারোজন স্থির। যদি তুমি দল নিয়ে সন্তুষ্ট, তাহলে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কারণ সমগ্র প্রতিযোগিতায় এমন কিছু সময় আসবে যখন তুমি তোমার সেরা একাদশ সমন্ধে অবগত নও এবং তোমাকে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।" স্টার স্পোর্টস-এর জনপ্রিয় শো ক্রিকেট কানেক্টেডে এমনটাই জানিয়েছেন গৌতম গম্ভীর।

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, "আমি এখনও মনে করি, আরসিবি ব্যাটসম্যান নির্ভর দল। কিন্তু দলের বোলার্সরা এটা ভেবেই খুশি হবে যে বাকি ৭'টা ম্যাচ তাদের ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে খেলতে হবে না।" শুধু তাই নয়। অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাটের মধ্যে পার্থক্যটাও তুলে ধরেছেন গম্ভীর। গম্ভীরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী দলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শুরুর ৬-৭টা ম্যাচে প্রথম একাদশ ধরে রাখা উচিৎ ব্যাঙ্গালোরের। বললেন, "ধোনি এবং বিরাটের অধিনায়কত্বের সবচেয়ে লক্ষণীয় পার্থক্য হল, ধোনি প্রথম ৬-৭ টা ম্যাচে দলের মধ্যে কোনও পরিবর্তন আনেন না। কিন্তু আরসিবি'র মধ্যে বারংবার প্রথম একাদশ পরিবর্তনের প্রবণতা রয়েছে। কারণ, অধিনায়ক প্রথম একাদশ নিয়ে সন্তুষ্ট নন।"

অবশ্য গম্ভীর কিন্তু বিরাট'কে টিপসও দিলেন। বললেন, "প্রতিযোগিতার শুরু ভাল না হলেও আরসিবি যেন শুরুর ৬-৭ টা ম্যাচে প্রথম একাদশ ধরে রাখে। ধারাবাহিকতার জেরেই ক্রিকেটাররা ভাল পারফরম্যান্স করবে। অতএব বিরাট কোহলি যদি দল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে তাঁকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে সতীর্থরা কেমন খেলছে এবং তাঁদের প্রতি আমার কতটুকু বিশ্বাস রয়েছে।"

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরসিবি প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।