পৃথ্বী - ধবন জুটিতে ম্লান 'চিন্না থালা'-র প্রত্যাবর্তন

এপ্রিল ১০ : দুই দলের দর্শনেই যেন তফাৎ । চেন্নাইয়ের ভরসা অভিজ্ঞতায় আর দিল্লীর তারুণ্যে । প্রথম ম্যাচে অন্তত তারুণ্য টেক্কা দিল অভিজ্ঞতাকে ।
অধিনায়কত্বের প্রথম টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পন্থ। শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের । প্রথমেই দু-প্লেসি ও ঋতুরাজের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় চেন্নাই । কিন্তু বিপদে চেন্নাইয়ের হাল ধরেন বহুযুদ্ধের নায়ক সুরেশ রায়না । এক বছর দশ মাসেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকলেও প্রথম ম্যাচেই নিজের প্রত্যাবর্তনের কথা ঘোষণা করে দিলেন চেন্নাইয়ের প্রিয় 'চিন্না থালা' । প্রথমে মঈন আলী ও পরে রায়ডুর সঙ্গে জুটি বেঁধে দিল্লীর স্পিন জুটি অশ্বিন ও দিল্লীর হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা অমিত মিশ্রের উত্তর তীব্র আক্রমণ করেন রায়না । শেষ পর্যন্ত রায়না মোক্ষম সময়ে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট হলেও রানের গতি হ্রাস পায়নি জাদেজা ও কারনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে । ২০ ওভারের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের বড় লক্ষ্য স্থাপন করে চেন্নাই সুপার কিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তুমুল আক্রমণ চালায় শিখর ধবন ও পৃথ্বী শয়ের জুটি । গত আইপিএল ভালো যায়নি , অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যর্থ হয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন জাতীয় দল থেকেও । কিন্তু দেশে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পান তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিজয় হাজারে ট্রফিতে পৃথ্বী বিপক্ষকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন রানের বন্যায় । এদিন যেন তারই ঝলক দেখালেন তিনি । ৩৮ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি । অন্যপ্রান্তের ছিলেন শিখর ধবন । আইপিএলে নিজের ৪৪ তম অর্ধশত রান করেন তিনি । শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ৮৫ রানের মাথায় যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন ধবন তখন ম্যাচ দিল্লির পকেটে । শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লী ।