UAE তে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন নিয়ে বিসিসিআইয়ের সামনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা, আইপিএল ১৪ এর বাকি ৩১টি ম্যাচ আয়োজন করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড শুরুতে আগ্রহ দেখালেও এবার তারা মহা মুশকিলে পড়েছে।
এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বিসিসিআইকে পূর্ব প্রতিশ্রুতি দিলেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির হাত-পা কার্যত বাঁধা। কারণ আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এছাড়া আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। এক এক করে সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।
স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের বাকি ম্যাচগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আগামী জুন মাস থেকে শুরু হবে। অন্তত ২০ দিন ধরে চলবে এই টুর্নামেন্ট।
এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এই দেশে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলবে। আর তারপর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিউজিল্যান্ড আসবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলবে। আর এরপর এই দেশেতেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান, যা আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে।
ফলে জুন থেকে অক্টোবর অবধি কার্যত ব্যস্ত সূচি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এদিকে আইপিএলের বাকি ৩১ ম্যাচ আয়োজনের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর অবধি উইন্ডো তৈরি করে রেখেছে বিসিসিআই। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, আদৌ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তিনটি মাঠ অর্থাৎ দুবাই, শারজা এবং আবু ধাবির পিচগুলি এত বেশি ক্রিকেট সহ্য করতে পারবে?
এরপর রয়েছে নয়া ঝামেলা। যদি ভারতে করোনার পরিস্থিতি না পালটায়, সেক্ষেত্রে টি২০ বিশ্বকাপ চলে যাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এবং সেক্ষেত্রে, আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে সমস্ত মাঠ আইসিসিকে হস্তান্তর করে দিতে হবে।
এই নিয়ে এমিরেটস বোর্ডের এক সূত্র বলেছেন, "আমরা বিসিসিআইকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি যে যদি আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের আয়োজন এখানে নিয়ে আসে তাহলে আমাদের ১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত মাঠ হস্তান্তর করতে হবে।"
আর এই ঝামেলাগুলিকে দূর করলেও রয়েছে শেষ বড় ধাক্কা। এই মুহুর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ভারতের উপর। আর সেই নিষেধাজ্ঞা যদি তোলাও হয়, তাহলে বাধ্যতামূলক টিকাকরণেই তা সম্ভব হবে।
কিন্তু আইপিএলে অন্তত ৭০০-৮০০ জন ভারতীয়ের যোগদান থাকে। খেলোয়াড়, তাদের পরিবার, ম্যাচ অফিশিয়াল, কোচ স্টাফ, ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা এবং বিসিসিআই কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। যদিও জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা টিকা নিয়ে রেখেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অনেকেই এখনও পাননি। টিকার এই অভাবের সময় এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা প্রদান করা বেশ মুশকিল।
ফলে সব মিলিয়ে, আইপিএল আয়োজনের জন্য একাধিক বাধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের সব থেকে ক্ষমতাশালী ক্রিকেট বোর্ড। আর এই চ্যালেঞ্জকে কিভাবে উতরায় সৌরভ গাঙ্গুলি অ্যান্ড কোম্পানি, তার জন্য আগামী ২৯ মে স্পেশাল জেনারেল মিটিং অবধি অপেক্ষা করতেই হবে।