এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : টোকিও প্যারালিম্পিকে টেবিল টেনিসে রুপোর পদক জেতেন ভাবিনা প্যাটেল। এই জয়ের পর তার স্বামী নিকুল প্যাটেল বলেছিলেন যে তার স্ত্রীর নিজের পায়ে দাঁড়ানো এবং বাধা অতিক্রম করা ছিল যা তাকে টেবিল টেনিস প্যারালিম্পিক্স রৌপ্য পদক জেতানো প্রথম ভারতীয় করে তুলেছিল।

ছোটবেলায় পোলিওতে আক্রান্ত এবং ক্রাচ ব্যবহার করার পর থেকে, ভাবিনা প্যাটেল, গুজরাটের মেহসানা জেলার সুন্ধিয়া গ্রামে পড়াশোনা করেছিলেন। স্কুল পড়ার পর, আইটিআই কম্পিউটার সায়েন্স কোর্স করার জন্য আহমেদাবাদে চলে আসেন। আর সেখানে এসে তিনি টেবিল টেনিসের প্রতি আকৃষ্ট হন, কিন্তু তার এই নতুন পাওয়া আবেগের সাধনা সহজ ছিল না।

শুধু অনুশীলনে পৌঁছানোর জন্য, পোলিওতে আক্রান্ত ভাবিনাকে দুটি বাস পরিবর্তন করতে হত, কয়েকটি অটোরিকশায় ভাগ করে যেতে হত এবং তার ক্র্যাচে থাকা অবস্থায় আহমেদাবাদের কুখ্যাত ট্রাফিক এড়ানো শেষ মাইল কাটিয়ে উঠতে হত। এদিকে একসময় ভাবিনার স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানির জন্য চাকরি করার পাশাপাশি এক সময়ে রাজ্য-স্তরের অনূর্ধ্ব -১৯ ক্রিকেটার ছিলেন - তখন ছিলেন ভাবিনার নির্ভরযোগ্য বন্ধু, আর এখন একজন সহায়ক স্বামী।

৩৬ বছর বয়সী নিকুল প্যাটেলের সেই দিনগুলো আবার ফিরে দেখার কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, বাধা অতিক্রম করার জন্য তার স্ত্রীর বিশেষ চাহিদা ও ইচ্ছাশক্তি ছিল যা তাকে টেবিল টেনিস প্যারালিম্পিক্স রৌপ্য পদক জেতানো প্রথম ভারতীয় বানিয়েছিল।