“রোহিত- বিরাটকে ছাড়া ড্রেসিংরুমে হাঁটা অদ্ভুত লাগছে” – ইংল্যান্ড সফরের আগে বললেন কেএল রাহুল

Photo-BCCI
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের বহুল প্রতীক্ষিত টেস্ট সিরিজ শুরু হতে চলেছে শুক্রবার থেকে। তার আগে ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার কেএল রাহুল স্বীকার করে নিলেন, টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া দুই কিংবদন্তি – বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার অনুপস্থিতি দলকে নিশ্চয়ই অনুভব করাবে। তবে এই পরিস্থিতিকে তরুণদের জন্য নতুন সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তিনি।
গত মে মাসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন রোহিত এবং কোহলি। তাদের অনুপস্থিতিতে ওপেনিং এবং নম্বর চার পজিশনে তৈরি হয়েছে বড় শূন্যতা। কোহলি ১২৩টি টেস্টে ৯,২৩০ রান করে ভারতের সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে অবসর নেন।
দিল্লি ক্যাপিটালসের মিডিয়া টিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেকেএল রাহুল বলেন, “বিরাট এবং রোহিত গত এক দশক ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের স্তম্ভ হয়ে থেকেছেন। ওদের না থাকা অবশ্যই বড় ক্ষতি। আমি আমার গোটা কেরিয়ারে কখনও এমন কোনও টেস্ট দলে পা রাখিনি যেখানে বিরাট বা রোহিত, বা দু’জনের কেউই নেই। ৫০টিরও বেশি টেস্ট খেলেছি, এবং প্রত্যেক ম্যাচেই দু’জনের একজন বা দু’জনেই ছিলেন। এবার ড্রেসিংরুমে ঢুকে একটু অদ্ভুতই লাগছে। তবে অবশ্যই ওদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে। দেশের জন্য তারা সর্বস্ব দিয়েছেন, এবং চিরকাল কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। এখন আমাদের বাকি ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসার সময়।"
রাহুল তার বন্ধু এবং সতীর্থ করুণ নায়ারের প্রশংসাও করেন, যিনি দীর্ঘ আট বছর পর আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে প্রথম আনঅফিশিয়াল টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন করুণ। আইপিএল ২০২৫-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৮টি ম্যাচে ১৯৮ রান করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল একটি অর্ধশতকও। ৩৩ বছর বয়সী করুণ ২০১৬ সালে মোহালিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই টেস্টে অভিষেক করেছিলেন এবং তৃতীয় টেস্টেই চেন্নাইয়ে ৩০৩ রানে অপরাজিত থেকে নজরে আসেন। তবে এরপর শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ঘরোয়া টেস্ট খেলে বাদ পড়ে যান।
রাহুল বলেন, “আমরা দু’জন ১১ বছর বয়সে একসঙ্গে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। তখন থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু। করুণের যেমন সুযোগ এসেছিল, দুর্দান্ত একটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছে, কিন্তু নানা কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবু গত ২-৩ বছরে ওর খেলা দেখে আমি মুগ্ধ। ইংল্যান্ডে ওর কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতা, সেখানকার কঠিন পরিস্থিতি—সবকিছুই ওকে আরও দৃঢ় করেছে। এত কষ্টের পরেও জাতীয় দলে ফেরার জন্য যে মানসিকতা, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি আমরা দু’জনই ভারতীয় দলে আরও অনেকদিন খেলতে পারব।”
নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “আইপিএলের পরেই আমি ইংল্যান্ড সফরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। আমার কোচের সঙ্গে আলোচনাও করেছি এই সিরিজকে সামনে রেখে। ইংল্যান্ডে খেলাটা সবসময়ই একটা চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে যখন ওরা ঘরের মাঠে খেলে। আমাদের দলটা তুলনামূলকভাবে তরুণ, তাই আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।”
উল্লেখ্য, হেডিংলেতে প্রথম টেস্ট দিয়েই শুরু হবে ভারত এবং ইংল্যান্ডের নতুন ২০২৫-২৬ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র।