ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবার খেললেন কিলিয়ান এমবাপে, জুভেন্টাসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ে অভিষেক

Photo-X
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামলেন কিলিয়ান এমবাপে। মাঠে নামার আগে দর্শকদের উদ্দেশে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন, গ্যালারির উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের দিকে হাত নাড়লেন।
তবে রিয়াল মাদ্রিদের জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে জয়ে তার খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয়নি। দলের হয়ে ম্যাচের একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি করেন গঞ্জালো গার্সিয়া। এমবাপে অসুস্থ থাকায় গ্রুপ পর্বে রিয়ালের হয়ে প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছিলেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে গার্সিয়ার পরিবর্তে মাঠে নামেন এমবাপে। দর্শকরা তার নাম ধরে স্লোগান দিতে থাকেন, তখনই ট্র্যাকস্যুট খুলে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হন তিনি। মাঠে বেশ সক্রিয় থাকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছ থেকে কয়েকটি ভালো পাস পেলেও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেননি ফরাসি তারকা।
রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম ম্যাচের আগে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভুগছিলেন এমবাপে। হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয় তাকে। সেই কারণে তিনটি গ্রুপ ম্যাচেই মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ওই তিন ম্যাচে রিয়াল দুটি জয় ও একটি ড্র করে।
এমবাপের অনুপস্থিতিতে গঞ্জালো গার্সিয়া দারুণ ছন্দে ছিলেন। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই গোল বা অ্যাসিস্ট করে অবদান রেখেছেন তিনি, তিনটি গোল করেছেন নিজেও।
ম্যাচের আগের দিন কোচ জাবি আলোনসো বলেছিলেন, এমবাপে মাঠে নামতে পারেন। অবশেষে সেই সম্ভাবনাই সত্যি হলো। মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদ দল মাঠে প্রবেশ করলে এমবাপেকে ঘিরে দর্শকদের উল্লাস তুঙ্গে ওঠে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে, যেখানে বিকেলের বৃষ্টিতে মাঠ ছিল স্যাঁতসেঁতে।
এমবাপের প্রত্যাবর্তনে টুর্নামেন্টে তারকাখ্যাতির নতুন আলো ছড়াল। বিশেষ করে তখন, যখন লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ইতোমধ্যেই পিএসজির কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে — যে পিএসজিতেই একসময় খেলতেন মেসি এবং এমবাপে দু’জনেই।