এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : তিন বছর পর ভারতীয় ফুটবল দল খেলবে কলকাতায়। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত খেলবে কম্বোডিয়া, হংকং ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, আর সেই তিনটি ম্যাচই হবে কলকাতায়।

কিন্তু বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর, অধিকাংশই মাঠে এসে এই খেলা দেখতে পারবেন না। কেন? আয়োজকদের তরফ থেকে মাত্র ২০ হাজারের সামান্য বেশি কমপ্লিমেন্টারি টিকিট ছাড়া হয়েছে, যার জন্য স্টেডিয়ামটি করমুক্ত পেয়েছে তারা। যদি সাধারণ দর্শকদের জন্য টিকিট ছাড়া হত, তাহলে প্রতিদিন ১৬ লক্ষ টাকা দিতে হত অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে।

কিন্তু কেন এমনটা করা হল? এই নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এআইএফএফ এর কম্পিটিশন ডিরেক্টর অনিল কামাথ। তিনি বলেছেন, "রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত টিকিট বিনামূল্যে দেওয়া হবে। দেখুন, টিকিট ছাপাতে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু কিভাবে সেটি প্রদান করা হবে, কাদের প্রদান করা হবে, এটি সমস্যার।"

এরপর অনিল কামাথ জানিয়েছেন, কমপ্লিমেন্টারি টিকিটগুলি যাবে রাজ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, একাধিক্ ক্লাব, সরকারি দপ্তর আর তারপর সেখান থেকে আমজনতার কাছে যাবে। তিনি বলেছেন, "হ্যাঁ, ওনারা (রাজ্য সরকার) আমাদের স্টেডিয়াম বিনামূল্যে দিচ্ছে আর সেই কারণে টিকিট বিনামূল্যে ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা ২০ হাজার টিকিট ছাড়ছি, যা একেবারে ছোট অঙ্ক নয়।"

যদিও বর্তমানে এআইএফএফ পরিচালিত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের মাধ্যমে, তবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে ফেডারেশনের সচিবালয়। আর এই কম টিকিট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ভাষ্কর গাঙ্গুলি।

এক সর্বভারতীয় পত্রিকায় ভাষ্কর গাঙ্গুলি বলেছেন, "আমি কামাথ বাবুকে বলেছি, যদি আমাদের এই বিষয়ে আগে জানানো হত, আমরা অবশ্যই বিষয়টি রাজ্য সরকারের কাছে নিয়ে যেতাম। রাজ্য সরকার কয়েক দিন আগে আইপিএল ম্যাচের জন্য ১০০ শতাংশ দর্শকের অনুমতি দিয়েছিল। আমরা হয়ত আয়োজকদের এই নিয়ে সাহায্যও করতাম। তবে এখন খুব দেরি হয়ে গিয়েছে। ভারত তাদের ঘরে খেলছে এবং তারা দর্শকদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।"

এদিকে এক প্রাক্তন ফেডারেশন শীর্ষকর্তা মনে করছেন, যেহেতু ভারতের প্রতিপক্ষরা অনেকটাই কম পরিচিত, সেই কারণে আগ্রহ তেমন নেই। এই নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে সেই প্রাক্তন কর্তা বলেছেন, "দলগুলিকে ও তাদের র‍্যাঙ্কিং দেখুন। আপনার মনে হয় দর্শকরা মাঠ ভরাবে? আমি ১০ হাজার মানুষের বেশি দেখতেই পারছি না।"