এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ম্যানেজমেন্ট চাইলে আজীবন মোহনবাগানের হয়ে খেলতে চাই, গত মরশুমে এমনই কথা বলেছিলেন কেরালার উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান। কিন্তু এবার যা সম্ভাবনা সামনে আসছে, তাতে মোহনবাগান ছেড়ে নিজের পুরনো ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসিতে সই করতে চলেছেন আশিক। কিন্তু কেন মোহনবাগান ছাড়ছেন এই তারকা উইঙ্গার? 

এর পিছনে আবারও সেই এজেন্ট দৌরাত্ম্য। ভারতীয় ফুটবলে এই এজেন্টদের প্রভাবের জন্যও খেলোয়াড়দের দাম এমন পরিমাণে বেড়েছে, যার জেরে জর্জরিত হয়েছে ক্লাবগুলি। এমনকি, যে ফুটবলাররা হয়তো গত মরশুমে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ ম্যাচই খেলেননি, তাদেরও দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন খেলোয়াড়দের এজেন্টরা। এই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আশিক কুরুনিয়ান ও মোহনবাগানের মধ্যেও।

যা খবর, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্টকে নিজের বেতন বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন আশিক কুরুনিয়ান ও তার এজেন্ট। ২০২৭ সাল অবধি চুক্তি থাকলেও, আগামী মরশুমে নিজের বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু গত মরশুমে চোটের জন্য বেশিরভাগ ম্যাচই খেলতে পারেনি আশিক কুরুনিয়ান। আইএসএলে বেশিরভাগ ম্যাচে নেমেছিলেন ১০-১৫ মিনিটের জন্য এবং শেষের দিকে সুপার কাপে কয়েকটি ম্যাচ পুরো খেলেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, বেশি বেতনের এই দাবিকে মানতে চাইনি মোহনবাগান।

যার ফলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে আশিক ও তার এজেন্সিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় অন্য ক্লাবের খোঁজ করার। সূত্রের খবর বেশ কিছু ক্লাব অফার করেছিল আশিককে, কিন্তু শেষ অবধি নিজের পুরনো ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর এখানেই আবারও সামনে এসেছে ভারতীয় ফুটবলে এজেন্ট রাজের দৌরাত্ম্য। 

সম্প্রতি জাতীয় দলের প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আশিক, কিন্তু সেখানেও তার পারফর্মেন্স খুব একটা আহামরি নয়। মোহনবাগান সুপার জেট কার্যত বসিয়ে রেখে বেতন দিত আশিককে, যার পরিমাণও ছিল যথেষ্ট বেশি। সেখানে আরও বেতন চাওয়ার দাবিকে মেনে নিতে পারেনি মোহনবাগান।