এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বুধবার ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা চমক দেখিয়ে দিল জাপান। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও ২-১ ফলে জয় পায় জাপান। ৭৫ মিনিটে রিতসু দোয়ান সমতায় ফেরান জাপানকে।

যখন মনে হচ্ছিল, জাপান ম্যাচটি ড্র করে ফিরবে, সেই সময়েই মুহুর্তের চমক ঘটিয়ে দিলেন টাকুমা আসানো। ৮৩ মিনিটে একটি উড়ন্ত লং বল অসাধারণ দক্ষতায় রিসিভ করেন আসানো। এরপর জার্মানির ডিফেন্ডার নিকো স্লোটারবেককে কাটিয়ে ফার্স্ট পোস্ট রক্ষা করা ম্যানুয়েল নয়্যারের মাথার পর দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন আসানো।

আর এই গোলের পর খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো জাপানি সমর্থক আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে। কিন্তু এই টাকুমি আসানোকে ফুটবল খেলার জন্য অনুমতি দেয়নি ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা। যার জেরে আসানো নিজের স্বপ্নের ক্লাব আর্সেনালে সুযোগ পেলেও খেলতে পারেননি।

২০১৬ সালে আর্সেনালের তৎকালীন কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার নিয়ে আসেন আসানোকে, যাকে তিনি ভবিষ্যতের সম্পদ হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু তিন বছর আর্সেনালের সাথে যুক্ত থেকেও খেলতে পারেননি আসানো, সৌজন্যে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

এফএ এর তরফ থেকে ওয়ার্ক পার্মিট দেওয়া হয়নি আসানোকে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, দুই বছর কোনও শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলেননি বা জাপানের জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি আসানো।

এর ফলে আর্সেনালে থাকাকালীন প্রথম দুই বছর লোনে খেলেন জার্মান দল স্টুটগার্টে। তার পরের বছরের হ্যানোভারে খেলেন আসানো। কিন্তু ওয়ার্ক পার্মিট না মেলায় শেষ অবধি আসানোকে ছেড়ে দেয় আর্সেনাল। যার পর তিনি সার্বিয়ার দল পার্টিজান বেলগ্রেডে সই করেন আসানো, আর সেখানে তিনি নজর কাড়েন। বর্তমানে জার্মানির দল ভিএফএল বোচুমে রয়েছেন আসানো।

ইংল্যান্ডে ওয়ার্ক পার্মিট না পাওয়া থেকে, জার্মানির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশকে জেতানো - ওঠাপড়ার এক দারুণ লড়াই কাটিয়েছেন টাকুমি আসানো। এবং ছয় বছর আগে আর্সেন ওয়েঙ্গার হয়ত সঠিক বিবেচনাই করেছিলেন এই জাপানি ফুটবলের উপর।