ছেঁড়া জুতোয় ট্রায়াল দেওয়া থেকে আফ্রিকার সেরা - সাদিও মানের জীবনের শুরুটা ছিল রোমাঞ্চে ভরা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের ফাইনালে মহম্মদ সালাহের মিশরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সাদিও মানের সেনেগাল। তারকা উইঙ্গার সাদিওর কেরিয়ারটি ছিল রোমাঞ্চে ভরা। যেভাবে সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে উঠে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে অনবদ্য।
নয় বছর আগে, নিজের ফুটবল কেরিয়ারকে তৈরি করতে নিজের শহর থেকে ৫০০ মাইল দূরে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে একটি ট্রায়ালে যোগ দিতে আসেন সাদিও। সেই মুহুর্তটি নিয়ে সাদিও বলেছেন, "আমি আমার শহর ছেড়ে রাজধানীতে এসেছিলাম আমার কাকার সাথে, আর সেখানে ট্রায়াল চলছিল। আমরা সেখানে যাই এবং প্রচুর ছেলে ছিল যারা তৈরি হচ্ছিল দলে যোগ দেওয়ার জন্য। আমি এটা কখনও ভুলব না, আর এটা এখন হাস্যকর লাগে, কিন্তু আমার দিকে এক বয়স্ক লোক তাকায় এবং মনে হচ্ছিল আমি ভুল জায়গায় এসেছি।"
কিন্তু সেই ট্রায়ালে বাকি ছেলেরা যখন বেশ ভালো ফুটবল সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল, সাদিওর পরণে ছিল এক ছেঁড়া জুতো ও ঢলঢলে প্যান্ট। আর তা দেখে হতবাক হয় ট্রায়ালের আয়োজকরা। এই নিয়ে সাদিও বলেছেন, "ওরা আমায় জিজ্ঞেস করে, তুমি কি পরীক্ষার জন্য এসেছ? যখন আমি বলেছি যে হ্যাঁ, আমায় জিজ্ঞাসা করা হয়, 'এই বুট নিয়ে? ওদের দিকে দেখো। এগুলো নিয়ে কিভাবে খেলবে তুমি?' জুতোগুলো খুব খারাপ ছিল, খুবই খারাপ, ছেঁড়া আর পুরোনো হয়ে গিয়েছিল। তখন ওরা বলেছিল, 'আর এই শর্টস? তোমার কাছে তো ঠিকঠাক ফুটবল শর্টস নেই।'"
এরপর সাদিও মানে বলেছেন, "আমি বলেছিলাম যে আমি আমার সেরাটা নিয়েই এসেছি, এবং আমি শুধু খেলতে চেয়েছি - নিজেকে দেখতে চেয়েছি। যখন আমি মাঠে নামি, তখন আমার মুখে হতবাক হওয়ার প্রতিক্রিয়াটি দেখতে পান। তারপর ওরা আমায় বলে, 'আমি তোমায় এই মুহুর্তে বেছে নিচ্ছি। তুমি আমার টিমে খেলবে।'" আর এই ট্রায়ালের পর, মানে সরাসরি দলের অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পায়।
এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটন ও তারপর লিভারপুলে খেলছেন সাদিও মানে। বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা উইঙ্গার হিসেবে বিবেচিত হন ২৪ বছরের মানে।