আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এবার সুব্রত পাল, সন্দীপ নন্দী ও সঞ্জয় সেন, শঙ্করলালদের সংস্থা...

নিজস্ব প্রতিনিধি: আম্ফান বিধ্বস্ত দরিদ্র ফুটবলার ও দারিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এল বর্তমান ও প্রাক্তন প্লেয়ারদের তৈরি সংস্থা 'প্লেয়ার্স ফর হিউমিনিটি' ও কোচ ও ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টরদের নিয়ে তৈরি সংস্থা 'কোচেস হু কেয়ার'।
এর আগে, সন্দীপ নন্দী, দীপক মন্ডল, অর্ণব মন্ডল, সুব্রত পাল, মেহতাব হোসেন, রহিম নবি, দেবব্রত রায়, ডেনসন দেবদাসের মত ৪১ জন ফুটবলারকে নিয়ে তৈরি প্লেয়ার্স ফর হিউমিনিটি, ক্যান্সার আক্রান্ত প্রাক্তন ফুটবলার সঞ্জয় পার্তে ও প্রয়াত ফুটবলার ধনরাজনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ২ লক্ষ ও ৫ লক্ষেরও বেশি টাকা তুলে দিয়েছিল তারা। কোরোনা ভাইরাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তহবিলেও অৰ্থ প্রদান করেছিল। এবার তারা আম্ফান বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা সোশ্যাল সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে দারুন সারা পেয়েছে। প্রচুর মানুষ তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। তারা আপাতত সাহায্যের জন্য তিনটি এলাকাকে চিহ্নিত করেছে।
১) সাগরদ্বীপ অঞ্চল: তারা যেহেতু এই কাজে খুব একটা অভিজ্ঞ নয়, তার জন্য তারা রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে টাইআপ করেছে। বাড়ি মেরামতির জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তারা জিনিসপত্র তুলে দেবে। তাদের জিনিসপত্র দিয়ে যে সব বাড়ি মেরামত হবে, সেই সব বাড়িতে প্লেয়ার্স ফর হিউমিনিটির বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে।
২) লক্ষ্মীকান্তপুর অঞ্চল: এই অঞ্চলে তারা চারটি বাড়ি মেরামত করে দেবে। তার মধ্যে আছে বিধাননগর একাডেমির অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলার মারুফের বাড়ি। ঝড়ে তার বাড়ি উড়ে গেছে।
৩) গোসাবা অঞ্চল: এই অঞ্চলে মেহতাব হোসেনের চেনা বেশ কিছু বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বাড়ি মেরামত করে দেবে প্লেয়ার্স ফর হিউমিনিটি।
তবে প্লেয়ার্স ফর হিউমিনিটি এর আগে নানা ধরণের সোশ্যাল কাজ করলেও, সঞ্জয় সেন, অভিজিৎ মন্ডল, বাসুদেব মন্ডল, গৌতম ঘোষ, শঙ্করলাল চক্রবর্তী, আদিত্য চ্যাটার্জি মত কোচ ও টেকনিক্যাল ইন্সট্রাক্টরদের নিয়ে ৬০ জনের তৈরি 'কোচেস হু কেয়ার' সংস্থার কিন্তু এটাই প্রথম কাজ। তারাও বাইরের কোচ, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দারুণ সাহায্য পেয়েছে।
মঙ্গলবার তারা ক্যানিংয়ে গিয়ে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফুটবলারদের হাতে টাকা, হরলিক্স, সোয়াবিনের মতো বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেবে। পরবর্তী কালে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে তাদের।