মহামেডান স্পোর্টিং – ২ (ভানলালবিয়া ছাংতে, গনি আহমেদ নিগম)

ভবানীপুর এফসি – ০

নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৩ সালে শেষবার আই লিগ খেলেছিল মহামেডান স্পোর্টিং। তারপর থেকে ক্রমে পিছিয়ে যাওয়া। প্রতি মরসুমেই দ্বিতীয় ডিভিশন খেলে সাদা-কালো শিবিরকে সন্তুষ্ট থাকতে হত। তবে শেখ ওয়াসিম আক্রম, দীপেন্দু বিশ্বাস, বেলাল খান'রা দায়িত্ব নেওয়ার পর এবার চাকা ঘুরল। শাপমোচন ঘটল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের। শুক্রবার সবচেয়ে কঠিন ম্যাচে ভবানীপুরকে ২-০ গোলে হারাল ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। আর এমন জমকালো পারফরম্যান্সের জন্য ২০২০-২১ মরসুমের আই লিগ খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন প্রিয়ন্ত সিং-কিংসলে-শেখ ফৈয়াজরা।

একদিকে শঙ্কর লাল চক্রবর্তী। অন্যদিকে তাঁরই একসময়ের সতীর্থ দীপেন্দু বিশ্বাস। একেবারে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। একদিকে ফিলিপ আদজা, অন্যদিকে উইলিস প্লাজা। তবে এমন হাইভোল্টেজ ভার্চুয়াল ফাইনালে ভানলালবিয়া ছাংতে, গনি আহমেদ নিগম বাজিমাত করবেন কে জানত! কে জানত যে প্রিয়ন্ত সিং বিপক্ষের 'বাজপাখি' শিল্টন পাল'কে পেছনে ফেলে সাদা-কালো শিবিরের 'দ্যা ওয়াল' হয়ে উঠবেন! কে জানত পুরো ফিট না হলেও অভিজ্ঞ কিংসলে বিপক্ষের ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকার ফিলিপ আদজা'কে একেবারে বোতলবন্দি করে দেবেন!

২৭ মিনিটে প্রথম গোল করে মহামেডানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ছাঙ্গতে। মাঠের ডানদিক থেকে শেখ ফৈয়াজের দিকে বল বাড়ান প্লাজা। বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা ছাঙ্গতের দিকে বল এলে তিনি ভুল করেননি। শিল্টনকে পরাস্ত করে জালে বল ঢুকিয়ে দেন এই পাহাড়ি ফুটবলার। এদিন আদজা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৩৭ মিনিটে ফিলিপ আদজা একা প্রিয়ন্তকে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ফলে প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে মহামেডান।

দ্বিতীয়ার্ধে ভবানীপুর প্রতি আক্রমণ করলেও লাভ হয়নি। ৬৭ মনোতোষ চাকলাদারের হেড থেকে বল পান 'সুপার সাব' গনি নিগম। এরপর চেস্ট ট্র্যাপ করে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। এবং এই গোলের পরেই আরও ব্যাকফুটে চলে যায় ভবানীপুর। বাকি সময়টা সাদা-কালো ব্রিগেডের ডিফেন্স বিপক্ষকে বুঝে নিল।

এই জয়ের নেপথ্যে প্রিয়ন্তের অনেক অবদান আছে। গোটা ম্যাচে একাধিক সেভ করেছেন সাদা-কালো অধিনায়ক। পাশাপাশি অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছেন কিংসলে। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ১১ নম্বর দল হিসেবে ২০২০-২১ আই লিগের মূলপর্বে চলে গেল মহামেডান স্পোর্টিং।