এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ডেনিস ল নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আলঝাইমার রোগ এবং ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই স্ট্রাইকার তার অবস্থা প্রকাশ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের মধ্যে একজন এবং তার নামে একটি ব্যালন ডি’অরও রয়েছে, যা তিনি ১৯৬৪ সালে জিতেছিলেন। তিনি ইউনাইটেডের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা, তার নামে ২৩৭টি গোল রয়েছে ৪০৪টি ম্যাচে, এই রেকর্ড এর আগে শুধু ওয়েন রুনি এবং ববি চার্লটনের আছে।

ক্লাবের জন্য তার ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স তাকে তার সমর্থকদের কাছ থেকে "দ্য কিং" উপাধি এনে দেয়। এই প্রবীণ স্ট্রাইকার স্কটল্যান্ডের হয়ে ৫৫টি ম্যাচে খেলেছিলেন , যেখানে তিনি চারটি চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছিলেন। ল বলেছেন সামনের যাত্রা আরও কঠিন, অপ্রীতিকর এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল হবে। প্রাক্তন স্ট্রাইকার নিশ্চিত করেছেন যে তিনি মিশ্র ডিমেনশিয়াতে ভুগছেন এবং এটি সম্পর্কে মুখ খুলতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছেন যে কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

এই নিয়ে ল বলেছেন, "আমি সেই অবস্থানে আছি যেখানে আমি অনুভব করি আমি আমার অবস্থা সম্পর্কে খোলাখুলি হতে চাই। আমি 'মিক্সড ডিমেনশিয়া' রোগে আক্রান্ত হয়েছি যা আমার ক্ষেত্রে একাধিক ধরনের ডিমেনশিয়া, আলঝাইমার এবং ভাস্কুলার দুটোতেই আক্রান্ত হয়েছি। প্রত্যেকের জন্য এটি একটি অত্যন্ত কঠিন বছর ছিল এবং প্যানডেমিকের দীর্ঘ সময় কোনও সাহায্য করেনি এই রোগ নিরাময়ে।"

ডেনিস ল বলছেন, পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ল এই অবস্থাকে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং তিনি দেখেছেন যে বেশ কয়েকজন মানুষ এতে ভুগছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে তার পরিবারের পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কঠিন হবে।

ল যোগ করেছেন, "আপনি আশা করেন যে এটি আপনার সাথে ঘটবে না, এমনকি প্রাথমিক লক্ষণগুলি উপেক্ষা করে এটি সম্পর্কে কৌতুক প্রকাশ করেন কারণ আপনি এটি সত্য হোক তা চান না। আপনি রাগান্বিত হন, হতাশ হন, বিভ্রান্ত হন এবং তারপরে চিন্তিত হন, আপনার পরিবারের জন্য উদ্বিগ্ন হন, কারণ তারাই এর সাথে মোকাবিলা করবে। যাইহোক, সময় এসেছে এর মোকাবিলা করার, শ্লেষের অজুহাত দেওয়ার।”

ল বলেছিলেন যে বিষয়টি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং এটি তাকে কষ্ট দিচ্ছে। তিনি আরও স্বীকার করেছেন যে তার অবনতিশীল মস্তিষ্কে কীভাবে তার স্মৃতি মাঝে মাঝেই হারিয়ে যাচ্ছে।