এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের জমজমাটি লড়াই শুরু হল। মঙ্গলবার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আল্ট্রা ডিফেন্সিভ ফুটবলকে টপকে কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে জয় পেল ম্যানচেস্টার সিটি, অন্যদিকে দুরন্ত আক্রমণাত্মক খেলায় বেনফিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারাল লিভারপুল।

ম্যানচেস্টার সিটি - ১ (কেভিন ডি ব্রুইন)

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ - ০

এতিহাদ স্টেডিয়ামে দুই দেশের দুই লিগ জয়ী দল ম্যান সিটি ও অ্যাটলেটিকোর লড়াইয়ে ফুটবলপ্রেমীরা আশা করেছিল সুন্দর ফুটবল। কিন্তু দিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো একেবারে যাকে বলে 'অ্যান্টি ফুটবল' খেলে গিয়েছে পুরো ম্যাচ জুড়ে। চরম আল্ট্রা ডিফেন্সিভ ফুটবল ও কাউন্টার অ্যাটাকভিত্তিক খেলায় মত্ত ছিল অ্যাটলেটি। যার জেরে সারা ম্যাচে একটিও শট নেই তাদের।

কিন্তু সিটি মরিয়া ছিল গোল পাওয়ার জন্য। পজেশন ধরে রেখে অ্যাটলেটিকোর ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছিল পেপ গুয়ারদিওলার ছেলেরা। শেষে পরিবর্ত হিসেবে নামা ফিল ফোডেনের দুর্দান্ত পাসে কেভিন ডি ব্রুইন অ্যাটলেটিকোর গোলকিপার জান ওবলাকের পাস দিয়ে মেরে গোল করে দিয়ে আসেন। আর এর জেরে প্রথম লেগে ১-০ এর গুরুত্বপূর্ণ লিড নিয়ে এগিয়ে গেল সিটি।

বেনফিকা - ১ (ডারউইন নুনেজ)

লিভারপুল - ৩ (ইব্রাহিমা কোনাটে, সাদিও মানে, লুইস ডিয়াজ)

লিসবনে বেনফিকার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জয় তুলে আনল লিভারপুল। ১৭ মিনিটে অ্যান্ডি রবার্টসনের কর্নারে হেড করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিমা কোনাটে। এরপর কিছু মিনিট পরে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নোল্ডের দুর্দান্ত পাসে হেড করেন লুইস ডিয়াজ, যা আসে সাদিও মানের পায়ে, এবং সুন্দর করে গোল করেন তিনি।

শুরুতেই দুই গোল পেয়ে যেন কিছুটা বাঁধনছাড়া হয়ে গিয়েছিল জুরগেন ক্লপের ছেলেরা। আর তারই সুযোগ নেয় বেনফিকা। দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাফা সিলভা ক্রস বাড়ান, যা ধরতে পারেননি কোয়ান্টে, আর সেটি থেকে গোল করেন ডারউইন নুনেজ। এই নুনেজের প্রতি নজর রয়েছে ইউরোপের হেভিওয়েট ক্লাবগুলির, যিনি গত ২০ ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন।

এরপর ঘরের মাঠের সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে লিভারপুলকে চাপ দিতেই থাকে বেনফিকা। কিন্তু লুইস ডিয়াজের নেতৃত্বে লিভারপুলের আক্রমণ এর দারুণ জবাব দেয়। ৮৭ মিনিটে ন্যাবি কেইতার থ্রু পাসে বল পেয়ে গোল করে দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড লুইস ডিয়াজ। আর এর জেরে ৩-১ এর দুর্দান্ত লিড নিয়ে অ্যানফিল্ডে নামবে লিভারপুল।