পুলিশের তাড়া খাওয়া থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে জোড়া গোল! হ্যাঁ এটাই ফুটবল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : রবিবার থেকে শুরু হয়ে গেল ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর দামামা। এবং প্রথমবার কোনও আয়োজক দেশকে উদ্বোধনী ম্যাচে হারিয়ে চমকে দিল ইকুয়েডর। কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ইকুয়েডর। আর দুটি গোলই করেছেন অধিনায়ক এনের ভ্যালেন্সিয়া।
অথচ এই এনের ভ্যালেন্সিয়ার জীবনটা বেশ ওঠানামার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এবং যে সংগ্রাম পেরিয়ে আজ নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন এই ফরোয়ার্ড, তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মত।
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এনের ভ্যালেন্সিয়া, নিজের ও পরিবারের চাহিদা মেটাতে বাবার সাথে দুধ বেঁচতেন ভ্যালেন্সিয়া। এমনও সময় এসেছে, এক এক দিন না খেয়ে গুয়াইয়াকুইল শহরের স্টেডিয়ামে ঘুমোতে হত ভ্যালেন্সিয়াকে।
তবে ফুটবলের স্বপ্নটা ছাড়েননি ভ্যালেন্সিয়া। ২০১০ সালে ইকুয়েডরের ক্লাব এমেলেকের হয়ে পেশাদারি কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে মেক্সিকোর পাচুকায় দুরন্ত ফুটবল খেলেন এনের। যার ফলে তার পরের মরশুমেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে সুযোগ পান ভ্যালেন্সিয়া।
তবে ২০১৬ সালে এক মজার কান্ডের জেরে শিরোনামে আসেন এনের ভ্যালেন্সিয়া। সেই বছর চিলির বিরুদ্ধে কুইতোতে ২০১৮ বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে গল্ফ কার্টে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ভ্যালেন্সিয়াকে, আর সেই সময়ে তাকে তাড়া করছিল স্থানীয় পুলিশ।
কিন্তু কেন? আসলে ভ্যালেন্সিয়া তার প্রাক্তন স্ত্রীকে তার সন্তানের লালন-পালনের জন্য অর্থ প্রদান করেননি। আর সেই কারণে আদালতের নির্দেশমত ভ্যালেন্সিয়াকে ধরতে তাড়া করেছিল পুলিশ।
তবে সেই সমস্ত বিতর্ক দূর করলে, ইকুয়েডর ফুটবলের অন্যতম বড় নাম এই এনের ভ্যালেন্সিয়া। বর্তমানে তুরস্কের হেভিওয়েট ক্লাব ফেনেরবাচেতে খেলেন এনের। এবং রবিবার বিশ্বকাপে জোড়া গোল করে ইকুয়েডর জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন তিনি।