শেষ হল এক অধ্যায়। চলে গেলেন কার্লটন চ্যাপম্যান। বিস্তারিত পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : সপ্তাহের শুরুতেই দুঃসংবাদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কার্লটন চ্যাপম্যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। সোমবার ভোরবেলা তিনটে কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করেন কার্লটন। দ্রুত তাঁকে ব্যাঙ্গালোরের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভোর ৫:৩০ মিনিট নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও দুই সন্তানকে রেখে গেলেন এই দাপুটে মিডফিল্ডার।
টাটা ফুটবল একাডেমি থেকে পাশ করার পর, ইস্টবেঙ্গল থেকে তিনি ক্লাব ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন। এছাড়া ভারতীয় দলে ৯০'এর দশকে নিয়মিত খেলেছেন। তবে খেলা ছাড়লেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি। কোচিংয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তবে শুধু ফুটবলার নয়, মানুষ হিসেবেও তিনি দারুণ মনের ছিলেন। তেমনটাই মনে করেন দেবজিত ঘোষ। দেবজিত বলছিলেন, "অনেক ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছি। বন্ধুত্ব হয়েছে। তবে কার্লটন সবার চেয়ে আলাদা। ওর মত মনের ছেলে আমি দেখিনি। কোনও পরিচিত মানুষ সমস্যায় পড়লেই কার্লটন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। সেই মানুষটাকে এভাবে চলে যেতে হল! মেনে নেওয়া যায় না।"
১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন চ্যাপম্যান। তবে জেসিটিতে যাওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেই সকলের নজরে আসেন। ১৯৯৩ সালে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে ইরাকের ক্লাব আল-জাওয়ারার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন তিনি। লাল-হলুদ ব্রিগেড সেই ম্যাচ ৬-২ গোলে জিতেছিল। এরপর ১৯৯৫ সালে জেসিটি'তে গিয়ে ভাইচুং ভুটিয়া ও আই এম বিজয়নের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। খেলা ছাড়ার পর ২০০২ সাল থেকে তাঁর কোচিং কেরিয়ার শুরু হয়। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করানোর পাশাপাশি রয়্যাল রেঞ্জার্স, রয়্যাল ওয়াহিংডো, ভবানীপুর, স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, কোয়ার্টজ এফসি'র মত আরও নানা ক্লাবে এবং অ্যাকাডেমিতে কোচিং করিয়েছেন চ্যাপম্যান।
তবে সেগুলো এখন অতীত। কারণ, সোমবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর যে ভারতীয় ফুটবল থেকে একটি অধ্যায়ের শেষ হল।