এক্সক্লুসিভ : কেন পিছিয়ে আসছেন ওমিদ সিং? লোবো-রফিকরা কী ভাবছেন? জানতে পড়ুন...

সব্যসাচী বাগচী : আপাতত তিনি জল মাপছেন। পুরো পরিস্থিতির দিকে তাঁর তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। ভারতের জাতীয় দলে খেলার জন্য তিনি ইস্টবেঙ্গলকেই মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তবে আগামী মরসুমে লাল-হলুদ দেশের সর্বোচ্চ লিগ আইএসএলে না খেললে, ওমিদ সিং কোনওমতেই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন না। ইরান থেকে তাঁর এজেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন ২৯ বছরের ভারতীয় বংশদ্ভূত এই উইঙ্গার। যদিও এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। বরং আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান। তারপরেই ইস্টবেঙ্গলে না খেলার ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা করবেন। কিন্তু তাঁর আই লিগ খেলতে অসুবিধা কোথায়? জানা গেল গত মরসুমে গোকুলাম কেরালা এফসি তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছিল। এমনকি মোহনবাগান কর্তারাও দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডো'কে কাজে লাগিয়ে তাঁকে সই করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওমিদ রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কুমরোন তুর্ষণভ'কে সই করান সবুজ-মেরুন কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের আগামী মরসুমে আইএসএল খেলার আশা খুবই কম। এরপর যদি ওমিদ মুখ ফিরিয়ে নেন সেটা ক্লাবের জন্য বড় ধাক্কা হবে।
শুধু ওমিদ নন। একইসঙ্গে ভারতীয় দলের তারকা স্ট্রাইকার বলবন্ত সিং'ও তাঁর ভবিষ্যত নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। তিনি প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, তাঁর এজেন্টকে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলছেন। কারণ, পরিস্থিতি ঠিক না হলে তিনিও অন্য দলে নাম লেখানোর জন্য পা বাড়াতে পারেন। এদিকে তরুণ ডিফেন্ডার মেহতাব সিংও লাল-হলুদ'কে বিদায় জানিয়ে দিলেন। ফেসবুক পোস্টে সেই বার্তাও দিলেন এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান আ্যরোজের দুই তরুণ ফুটবলার রিকি স্যাবঙ্গ ও হরমনপ্রীত'কে লাল-হলুদে সই করতে দিল না ফেডারেশন। আইএসএল যেহেতু দেশের এক নম্বর লিগ, তাই এআইএফএফ চায় তাদের তরুণ ফুটবলাররা যেন সেরা লিগে খেলে। এর আগে আরও এক তরুণ ফুটবলার বিক্রম প্রতাপ সিং'কে নিয়েও উৎসাহী ছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু ফুটবল হাউসের কর্তারা ব্যাপারটার মধ্যে হস্তক্ষেপ করার পর বিক্রম প্রতাপ সিং মুম্বই সিটি এফসি'তে সই করেন।
যদিও একটা সময় লাল-হলুদে খেলে যাওয়া কেভিন লোবো ও বঙ্গসন্তান মহম্মদ রফিক কিন্তু ক্লাবের পাশেই আছেন। ইস্টবেঙ্গল আইএসএল না খেললেও, তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। জানিয়ে দিলেন দুই মিড ফিল্ডার। গোয়া থেকে টেলিফোনে কেভিন লোবো বলছিলেন, "ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হওয়ার পরেও আইএসএল খেলার জন্য দল ছেড়েছিলাম। তবে সেই ইস্টবেঙ্গলে আবার ফিরে এসেছি। এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। তাই দল আইএসএল কিংবা আই লিগ যাই খেলুক, আমার কোনও সমস্যা নেই।" রফিক আবার বলছেন, "কলকাতার ছেলে হিসেবে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা আমার কাছে গর্বের। তাই পুরোনো ক্লাবে সই করেছি।"
কেভিন লোবো-মহম্মদ রফিকের মত ফুটবলাররা ক্লাবের পাশে থাকলেও, ওমিদ সিংয়ের বার্তা কিংবা বলবন্তের মত স্ট্রাইকারের চিন্তা কিন্তু এই ইস্যুতে অন্য মাত্রা যোগ করল। যা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের নিঃসন্দেহে মাথা ব্যাথার কারণ।