এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেই আইএসএলের প্রথম জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এদিনের এওয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেন্নাইয়ান এফসি এখন সমস্ত দলকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছে, তাদের ফিজিক্যাল ফুটবলের জন্য। প্রচণ্ড শারীরিক এবং গতিশীল, প্রেসিং ফুটবল খেলছে তারা। একেবারে ইংলিশ ফুটবলে যেমনটা হওয়া উচিত, ব্রিটিশ কোচ ওয়েন কোয়েল সেটাই করছেন। এবারে আইএসএলে সাফল্য এখনো পায়নি চেন্নাই, কিন্তু বিপক্ষের ভিত নড়িয়ে দিতে পারছে। তাদের ডিরেক্ট ফুটবলই বিপক্ষকে ভয়ের কারণ। তবে চেন্নাইয়ের বাঁধা টপকে পরপর দুটি ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণু, জিকসনের গোলে চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে ২-০ ফলাফলে জয়ী অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল। 

এদিন প্রথমার্ধে চেন্নাই দলের ফারুক চৌধুরী এবং চিমা চুকুরের নেতৃত্বে তাদের আক্রমণ ভাগ বেশ জোরালো ছিল। বেশ কয়েকবার তারা গোল করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তবে হিজাজি মাহের এবং আনোয়ার আলির সৌজন্যে বারবার দুর্গ রক্ষিত হয়েছে। সেইসঙ্গে গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের পারফরম্যান্সের কথা অবশ্যই বলতে হবে।

এদিনও শুরু থেকে মাঠে ছিলেন পিভি বিষ্ণু। কোচ অস্কার ব্রুজো নাওরেম মহেশকেও প্রথম একাদশে রাখেন। বাঁ দিক দিয়ে বারবার চেন্নাইয়ের ফুটবলার দিনলিয়ানার পায়ে আটকে যাচ্ছিলেন বিষ্ণু। প্রচণ্ড ফিজিক্যাল খেলছিলেন দিনলিয়ানা। এর ফলে, প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে বিষ্ণু কিছুটা ভেতরে ঢুকে খেলতে শুরু করেন। নাওরেমকে দুই প্রান্ত বদলে ফেলতেও দেখা যায়। অনেক  ওয়ার্কলোড নিচ্ছিলেন নওরেম।

দিমিত্রি দিয়ামন্তকস এবং ডিফেন্ডার ক্রিস্টোফার এডওয়ার্ডের লড়াই জমে ওঠে চেন্নাইয়ের ডিফেন্স ভাঙার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে মাদিয়া তালালকে আটকানোর দায়িত্ব ছিল দিনপুইয়ার উপর।

প্রথমার্ধে তুমুল লড়াই হলেও, ফলাফল ছিল গোলশূন্য।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ৪৯ মিনিটে দিয়ামান্তাকোসের পরিবর্তে মাঠে নামেন ক্লেটন সিলভা। ৫৪ মিনিটে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। ডান প্রান্ত থেকে মহেশের বাড়ানো পাস থেকে প্রথম বারে শট মারার চেষ্টা করেন সল ক্রেস্পো যা চেন্নাই গোলকিপার নাওয়াজ বাঁচিয়ে দিলে ফিরতি বলে গোল করেন বিষ্ণূ। এরপর ক্রেস্পোকেও তুলে নেন অস্কার, হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি অনুভব করায় উঠে যান তিনি। পরিবর্তে নামেন জিকসন সিং। 

গোটা ম্যাচ জুড়েই ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে যান চেন্নাইয়ের ফুটবলাররা। যেকারণে সমস্যায় পড়েন মহেশ, তালাল, বিষ্ণূরা। চেন্নাইয়ের বেশ কিছু ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেন। অন্যদিকে বেঞ্চ থেকে হলুদ কার্ড দেখেন ক্রেস্পো, ফলে ৪তি হলুদ কার্ডের কারণে আগামী ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না।

গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো কিন্তু ক্লেটন মহেশরা সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। যদিও ৮৪ মিনিটে দুরপাল্লার দুরন্ত শটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের জয় নিশ্চিত করেন জিকসন।  ২-০ ফলাফলে ম্যাচ জিতে নেয় ইস্টবেঙ্গল।