কুয়াশায় ঢাকা যুবভারতীতে জয়ের দিশা খুঁজে পেল ইস্টবেঙ্গল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ বছরের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি আমরা। দিন গুনছি কবে ভুলে ভরা বছরটা ভুলে নতুন ভাবে আবার শুরু করব নতুন বছরটা৷ ইস্টবেঙ্গল দলও ভুলে ভরা এই মরশুমের অর্ধেক সময়টা কাটিয়ে হয়তো নতুন শুরু খোঁজে ছিল। তবে নতুন বছর নয় ডিসেম্বরেই হয়তো প্রত্যাবর্তন জানান দিয়ে গেলেন অস্কার ব্রুজো ও তাঁর দল। কুয়াশায় ঢাকা যুবভারতীতে দিশাহীন ইস্টবেঙ্গল খুঁজে পেল তাদের জয়ের দিশা। প্রথমার্ধে পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে ৪-২ ফলাফলে জয়ী লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ক্রেস্পো-তালাল-দিমিত্রি হীন ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির আক্রমণকে আটকাবে কী করে সেই নিয়েই উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন! রক্ষণ ও মাঝমাঠের দুর্বলা ঢাকতে মাঝমাঠে আনোয়ারকে শুরু করান ব্রুজো। তবে সুলজিচ এবং ভিডালের ধারালো আক্রমণে প্রথমার্ধেই জোড়া ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল।
২১ মিনিটে গোল করেন সুলজিচ। এরপর গোল শোধের চেষ্টায় আক্রমণে উঠতে থাকে ইস্টবেঙ্গল তবে প্রতিআক্রমণে দুর্দান্ত গোল করে যান পাঞ্জাবের ভিডাল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ০-২ ফলাফলে।
দ্বিতীয়ার্ধে নাওরেমের পরিবর্তে তরুণ বিষ্ণুকে নামায় ইস্টবেঙ্গল। ফলও পায় অস্কার ব্রুজো। ৪৬ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ক্লেইটনের ভাসানো বলে হেডে গোল করেন হিজাজি। এই গোলের পরেই চোট পেয়ে উঠে যান নোভোসেলেচ। এরপর পাঞ্জাবের রক্ষণে ফাঁকফোকর সৃষ্টি হয়। ৫৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান পরিবর্ত বিষ্ণু।
এরপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি পাঞ্জাব এফসি। ৬০ মিনিটে নন্দকুমারের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করলেন পাঞ্জাবের সুরেশ মিতেই।
৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাঞ্জাবের লুংডিম। ১০ জনের পাঞ্জাবকে আরও চেপে ধরে ইস্টবেঙ্গল।
৬৭ মিনিটে গোলের ব্যবধান বাড়ান দীর্ঘদিন পর প্রথম থেকে সুযোগ পাওয়া ডেভিড। বক্সে ভাসানো বলে দুরন্ত হেড করেন ডেভিড। এরপর পাঞ্জাব দল বারংবার গোল শোধের চেষ্টা করলেও লাল-হলুদ রক্ষণ ভাগে আটকে যায় তারা।