৬০% শেয়ারের প্রতিশ্রুতি পেয়েও সন্তুষ্ট নয় বাঙ্কারহিল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের কর্মকান্ডে ক্রমশই বিরক্ত হয়ে উঠছে বাংলার ক্রীড়া মহল। তিন বছর আগে আট বছরের মেয়াদে ৫০-৫০ শেয়ারে মহামেডান স্পোর্টিং-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বাঙ্কারহিল। তারপর থেকে প্রতি বছর দলগঠনের আগে শেয়ার বৃদ্ধির জন্যে চাপ দিকে থাকে তারা ক্লাবকে। চলতি বছরেও একই অবস্থায় সম্মুখীন হয় মহামেডান।
শুধুমাত্র আই লিগ খেলছে মহামেডান। বছরে ৭-৮ কোটি টাকা খরচ করে মহামেডানের সঙ্গে দর কষাকষি করে জুনিয়র ফুটবল পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে বাঙ্কারহিল। ক্রিকেট, সিএবির প্রতিনিধিত্ব সঙ্গে সিনিয়র ফুটবলের দায়িত্ব ছিলই, সেইসঙ্গে ইউথ ডেভেকমেন্টের জন্যে বেঁকে বসেছিল তাঁরা। মহামেডান কার্যকরী সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও ১০% শেয়ার আর ইউথ ডেভলপমেন্ট তুলে দিতে চায় ইনভেস্টরদের হাতে। তা সত্ত্বেও বরফ গলছেনা। দলগঠনের মরশুমে শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘসূত্রতা করে ইনভেস্টর সংস্থা রীতিমত বিপাকে ফেলেছে মহামেডানকে।
সম্প্রতি মহামেডান ক্লাবের শেয়ার ৭০%- ৭৪% দাবি করা হয় বাঙ্কারহিলের তরফে। কিন্তু ক্লাবের তরফে ৬০% শেয়ার ছাড়ার মনস্থ করা হয়। বিসিসিআই, ফুটবল ফেডারেশন ও সিএবির দীর্ঘদিনের আইনি পরামর্শদাতা এক নামী উকিলের মাধ্যমে আগের থেকে আরও ১০% বেশি শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু ৬০ % শেয়ারে সন্তুষ্ট নয় এই ইনভেস্টর!
শোনা যাচ্ছে ৮ কোটি টাকার বিনিময় তৈরি হয় মহামেডানের আইলিগের দল, যা একটি সফল আইলিগ দলের জন্য যথেষ্ট নয়। এর আগে বাংলার আইলিগ জয়ী দল মোহনবাগানের ফুটবল দলের জন্য বাজেট ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে বছর শেষ আই লিগ জিতেছিল মোহনবাগান সেবারের আনুমানিক বাজেট ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা। আইলিগে মহামেডানের খারাপ ফলাফলের অন্যতম একটি কারণ যে এই কম বাজেট তা নিয়েও আলোচনা চলছে ফুটবল মহলে।
এর পাশাপাশি লগ্নিকারী এই সংস্থা মহামেডান সমর্থকদের আইএসএল খেলার প্রতিশ্রুতি দেয়। ৮ কোটি টাকায় আই লিগে ভাল ফল হয়না। এই অর্থে আইএসএল খেলা সম্ভব নয় সে কথা সাদা-কালো ব্রিগেড ভাল মতই জানে। বর্তমানে একটি আইএসএল দলের খরচ হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আই লিগের দলের শেয়ার যখন ৮ কোটি খরচ করে ৭০% র বেশি চাওয়া হচ্ছে তখন আইএসএল নতুন চাহিদা তৈরি হবেনা তো? রেড রোডে কান পাতলেই
একথা এখন কানে আসছে।
তবুও অপেক্ষায় রয়েছে মহামেডান। কর্মকর্তারা চাইছেন বাঙ্কারহিল থাকুক ইনভেস্টর হিসেবে।