নেইমারদের উড়িয়ে ইউরোপ সেরা সেই অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন মিউনিখ। বিস্তারিত পড়ুন...

পিএসজি ০ : বায়ার্ন ১
এক্সট্রা টাইম নিউজ ডেস্ক : লিসবনে রবিবার রাতের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হওয়ার কথা ছিল। মনে করা হয়েছিল মেগা ফাইনালের মঞ্চে ফুটবল বিশ্বের দুই নায়কের একে অপরকে ছাপিয়ে যাবে। প্যারিস সাঁ জারমাঁ'র ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র বনাম বায়ার্ন মিউনিখের তারকা ফুটবলার রবার্ট লেয়নডস্কির মধ্যে ডুয়েল দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল দুনিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত সেই দ্বৈরথে জিতলেন লেয়নডস্কি ও তাঁর দল। হান্স ফ্লিকের কোচিংয়ে ১-০ জিতে ষষ্ঠ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঘরে তুলল বায়ার্ন মিউনিখ। আর ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবে গোমরা মুখে ও চোখের জল মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার।
হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালের প্রথম ৪৫ মিনিট কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ফলে প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। যদিও শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে পিএসজি। কিন্তু বায়ার্ন গোলকিপার ম্যানুয়েল ন্যয়ার যাবতীয় ঝড়ঝাপ্টা তৎপরতার সঙ্গে রুখে দেন। ১৪ মিনিটের মাথায় কিলিয়ান এমবাপে গোলের কাছাকাছি চলে আসেন। এরপর ১৮ মিনিটে নেইমারের গোলের উদ্দেশে কোণাকুণি শট নেন। দু'বারই নিশ্চিত পতন বাঁচান ন্যয়ার। বিশেষ করে নেইমারের শটের সময় গোলের কোণ ছোট করে দিয়ে বিশেষ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে বায়ার্ন। আর তাদের জয়সূচক একমাত্র গোলটি কিন্তু এসেছিল কিংসলে কোমানের হেড থেকেই। যিনি আবার পিএসজি অ্যাকাডেমিরই ফসল। ৫৯ মিনিটে ঠিকানা লেখা লম্বা বল ছ’গজ বক্সে কোমানের উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্নের জোশুয়া খিমিচ। পিএসজি রক্ষণ ছিল একেবারে অরক্ষিত। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোমান অবলীলায় হেডের সাহায্যে গোল করে যান। ব্যাস সেই শেষ। প্রথমার্ধের মতে দ্বিতীয়ার্ধেও গোল করতে ব্যর্থ ব্রাজিলের 'পোস্টার বয়'। ফলে প্রথম বার ফাইনালে উঠেও নেইমার-এমবাপে'দের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় অধরাই থেকে গেল।