এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : খেলা শুরুর আগেই আন্ডারডগ ছিল সালজবার্গ। সবাই একপ্রকার ধরেই নিয়েছিল যে বায়ার্ন তুরি মেরে উড়িয়ে দেবে অস্ট্রিয়ান ক্লাবটিকে। কিন্তু খেলা শুরুর পর চিত্রটা পুরোপুরি বদলে গেল। নিজেদের ঘরের মাঠে খোলস ছেড়ে বেরোলো সালজবার্গ। মাঠ জুড়ে খেলাতেই ছন্দ নষ্ট হল বায়ার্নের। ২১ মিনিটে এগিয়ে গেলেও কোমানের করা শেষ মুহূর্তের গোলে তাঁদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। 

খেলার শুরুর লগ্ন থেকেই লড়াই করার মানসিকতা নিযে নেমেছিল সালজবার্গ, সারা মাঠ জুড়ে খেলছিল তারা। এই সময় পিছিয়ে ছিল না বায়ার্নও, তারাও সমান তালে আক্রমন শানিয়ে যাচ্ছিল সালজবার্গের দুর্গতে। কিন্তু তাদের রক্ষণভাগ এত সজাগ ছিল যে বেশি কিছু করে উঠতে পারছিল না জার্মান ক্লাবটি। ঠিক এই সময় সালজবার্গের ওয়ান্নের চোট পেয়ে মাঠের বাইরে গেলে ১২ মিনিটের মাথায় মাঠে আসেন আদামু। তিনিই ২১ মিনিটে দুরন্ত গোল করে এগিয়ে দেন সালজবার্গকে। এরপর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলা চলতে থাকে। কিন্তু কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্ন পুরোপুরি ঝাঁপায় সালজবার্গের উপর। এক সময় মনে হচ্ছিল যেন বায়ার্নের গোল পাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে মনমুগ্ধকর ডিফেন্স খেলে চলেছিল সালজবার্গ। কিন্তু বায়ার্নের ক্রমাগত আক্রমণের জেরে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় অস্ট্রিয়ান ক্লাবটিকে। ৮৯ মিনিটে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন কোমান। সালজবার্গের গোলকিপার কোহন কয়েকটা দুর্দান্ত সেভ না করলে হয়ত খালি হাতেই ফিরতে হত তাঁদের। কিন্তু এরপর ব্যবধান আর বাড়েনি। কিন্তু অপেক্ষাকৃত এমন দুর্বল টিমের বিরুদ্ধে ড্র করা যে বায়ার্ন কোচের কপালে ভাঁজ ফেলবে তা বলাই যায়।