মোহনবাগান সমর্থকদের সুখের দিন আসন্ন! মুছে যেতে চলেছে 'এটিকে' নাম

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এটিকে ও মোহনবাগানের সংযুক্তিকরণের পর থেকে অধিকাংশ মোহনবাগান সমর্থকরা যে বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি মনঃক্ষুণ্ন ছিলেন, তার অবসান ঘটতে চলেছে। সূত্র মারফত খবর, যদি সব ঠিকঠাক থাকে, আসন্ন এএফসি কাপের পর সরে যেতে চলেছে 'এটিকে' নামটি, অর্থাৎ শুধু মোহনবাগান নাম নিয়ে সমস্ত টুর্নামেন্ট খেলতে দেখা যাবে নাকি আরপিএসজি বসবে সেটা পরিষ্কার না হলেও এটিকে যে সরছে সে বিষয়ে মোহনবাগান কর্মকর্তাদের একটা অংশ নিশ্চিত।
বিশেষ সূত্রের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন মোহনবাগানের নবনিযুক্ত সচিব দেবাশিস দত্ত ও সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ, সেখানে এই এটিকে সরানো ক্ষুদ্র হলেও আলোচনা হয়েছে। এবং তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
শুধু দেবাশিস দত্ত ও কুণাল ঘোষই নন, ক্লাবের অন্যতম নয়া সহ-সভাপতি অরুপ রায়েরও ভূমিকা রয়েছে এতে, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে এই এটিকে নামটি সরানো হবে?
বিশেষ সূত্রের খবর, মোহনবাগান ক্লাবের নয়া সভাপতি হতে চলেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে এত গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ানোর পরিবর্তে এটিকে নামটি সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন মোহনবাগান কর্তারা। আর এই গোটা বিষয়ের মাস্টার মাইন্ড দুজন, দেবাশিস দত্ত ও কুণাল ঘোষ।
আসলে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বপন সাধন (টুটু) বসুর পুনরায় সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললে চলে। সুব্রত ভট্টাচার্যের নাম ভেসে আসলেও সে সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে পারিবারিকগত ভাবে মোহনবাগানের একনিষ্ট সমর্থক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকেই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর কাজ শুরু হয়েছে, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। একস্ট্রা টাইম বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ এই বিষয়টি এড়িয়ে জাননি, বরং বুদ্ধি করেই উত্তর দিয়েছিলেন।
এবং আদ্যপান্ত মোহনবাগান সমর্থক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও ক্লাবের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে নিজের ব্র্যান্ড 'এটিকে' নামটি সরানোর কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতে চলেছেন। তবে সবই হবে আসন্ন এএফসি কাপের পরেই।
ফলে এই খবর নিঃসন্দেহে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে বড়ই আনন্দের, তা বলাই যায়। বাংলা নববর্ষে ই এক নতুন উপহার হতে পারে।