এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: আইএসএল এর ফিরতি ডার্বিতেও শুরুটা মোটেই ভাল হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের। শুরু থেকে কার্যত লাল-হলুদ ফুটবলারদের ঘারে চেপে বসলো এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ম্যাচে ফিরলেও কৃষ্ণ লীলাতেই কার্যত শেষ হয়ে গেল লাল হলুদ। একদিকে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের হতশ্রী ডিফেন্স, অন্যদিকে রয় কৃষ্ণার দুরন্ত পারফরম্যান্স - সৌজন্যে মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বিতেও ৩-১ গোলে জয় তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান।

শুক্রবার ডার্বিতে নায়ক সেই রয় কৃষ্ণা। দুরন্ত গোল সেইসঙ্গে দুর্দান্ত দুটি অ্যাসিস্ট। প্রথমার্ধে একেবারেই ছন্দে পাওয়া যায়নি লাল-হলুদ ফুটবলারদের। সেই সুযোগে ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা। তিরির লম্বা বল থেকে মাত্র চারটি টাচে সুব্রত পালকে টপকে বল জালে জড়ান কৃষ্ণা। তবে ১৫ মিনিট নয়, আরও আগেই এগিয়ে যেতে পারতো সবুজ-মেরুন। একটি সহজ সুযোগ মিস করেনি মনভীর সিং। পরে পাওয়া চৌদ্দ আনা এসসি ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র গোলটি আসে তিরির পা থেকে। রাজুর লম্বা থ্রো থেকে ব্যাকহেড করার সময় নিজের জালে জড়িয়ে ফেলেন এটিকে মোহনবাগানের এই ডিফেন্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ছন্দে ফেরার চেষ্টা করেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তবে আচমকাই ছন্দপতন। ড্যানি ফক্সের গা-ছাড়া মনোভাবের কারণে বল পেয়ে যান রয় কৃষ্ণা। কৃষ্ণার বাড়ানো বল থেকে গোল করতে ভুল করেননি ডেভিড উইলিয়াম। ৭২ মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন। একজন সিনিয়র ডিফেন্ডার হয়ে রয় কৃষ্ণার মতো স্ট্রাইকারের সামনে কিভাবে এমন ভুল করলেন ড্যানি ফক্স, তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠে যায়। 

এটিকে মোহনবাগানের তৃতীয় পোল্টির ক্ষেত্রেও সেই রয় কৃষ্ণার নিপুণ শিল্প ধরা পরল। জাভি হার্নান্দেজ এর দিকে অসাধারনভাবে বলটি বাড়ালেন রয় কৃষ্ণা। আর সেখান থেকেই ম্যাচের ৮৯ মিনিটে হেডে গোল করে গেলেন জাভি। তবে এদিন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার রা যা পারফরম্যান্স করলো তাতে এটিকে মোহনবাগান তিন গোল নয়, আরো বেশি গোলে জিতলেও অবাক হবার কিছু থাকত না। 

আর লাল-হলুদের পারফরম্যান্স নিয়ে যতটা কম বলা যায় ততটাই ভালো। এদিন এফসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কার্যত কিছু হারাবার ছিল না। বরং শীর্ষস্থান ধরে রাখার চাপে ছিল হাবাসের এটিকে মোহনবাগান। সেই সুযোগটি একেবারেই কাজে লাগাতে পারলো না তারা। দায়িত্বজ্ঞানহীন ফুটবল খেলে ম্যাচটিকে জঘন্য ভাবে নিজেদের হাতের বাইরে করে ফেলল। তবে সান্তনার পুরস্কার এটাই বল পজিশনে এদিনও মোহনবাগানকে টেক্কা দিল লাল হলুদ।