এক্সট্রাটাইম নিউজ ডেস্ক : পারিবারিক সমস্যার জন্য ২০১৮ সাল একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না। স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলায় চলে এসেছিল। সেই সময় একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন মহম্মদ সামি। ফলে মানসিক অবসাদের যন্ত্রণাটা তিনি ভালই বোঝেন। তাই অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণে আক্ষেপ ঝরে পড়ল 'সহেসপুর এক্সপ্রেস'এর গলায়।

গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু কেন সুশান্ত এমনটা করলেন? কীসের জন্য অবসাদে ভুগছিলেন তিনি? তদন্ত করছে পুলিশ। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট মহল। একটি ইংরেজি দৈনিক'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামি বলেছেন, "কোনও মানুষ অবসাদে থাকলে সেই ব্যক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া সবচেয়ে বেশি উচিত। তবে আমরা অনেকসময় এগুলো মেনে চলতে পারি না। আর এর ফলেই আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন একজন প্রতিভাবান অভিনেতার চলে যাওয়াটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ওর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। তাই ওর সঙ্গে কথা বলে যদি মনের অবস্থাটা বুঝতে পারতাম, তাহলে খুব ভাল হত।"

এই লকডাউনের সময় রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম শো'তেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হিয়েছিল। সামি তখন জানান, তিনিও জীবনের একটা সময় চূড়ান্ত অবসাদে ভুগেছেন। ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সময় তাঁর পাশে ছিল পরিবার। বাড়ির লোকেরাই সেই মুশকিল পরিস্থিতি থেকে তাঁকে টেনে বের করে এনেছিলেন। বুঝিয়ে ছিলেন, তিনি ঠিক ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। আর এই কারণেই সামির মনে হচ্ছে, সেই কঠিন সময় সুশান্তও যদি কাউকে মনের কথাগুলো খুলে বলতে পারতেন, তাহলে তাঁকে মাত্র ৩৪ বছরে চলে যেতে হত না।

সামি শেষে যোগ করলেন, "মানসিক চাপ বাড়লে শরীরের উপরও তার প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে অনেক সময় অন্যের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটতে পারে। খেলার মাঠেও এরকম হলে সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে মাঠের বাইরে কথা বলতাম। আমায় সকলেই উৎসাহ দিত। এবং সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যদের জন্যই ওই দুঃসময়টা পার করতে পেরেছি। তাই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।"