সুশান্তের মৃত্যুর খবর শুনে কী প্রতিক্রিয়া ছিল ধোনির? জানালেন বায়োপিকের পরিচালক নীরজ পান্ডে

সব্যসাচী বাগচী : দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচটা বছর। প্রিয় সুশান্ত সিং রাজপুত নেই। সেই অভিশপ্ত দুপুরবেলা মর্মান্তিক খবরটা টেলিভিশনে দেখার পরেই রাচিতে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে প্রথম ফোনটা করছিলেন। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি হলেন 'এম এস ধোনি দ্যা আনটোল্ড স্টোরি'-র পরিচালক নীরজ পান্ডে। আর যাঁর কাছে সেই দুঃসংবাদ পৌঁছেছিল তিনি স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি। মর্মান্তিক খবরটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শোকস্তব্ধ ছিল বলিউড। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন খোদ রিয়েল লাইফের ধোনি। কারণ, তাঁদের 'রিল' লাইফের 'মাহি' যে জীবন যুদ্ধে হার মেনে উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছিলেন!
আপ্ত সহায়ক দীপক সিংয়ের মাধম্যে এক্সট্রাটাইমের কাছে ধরা দিলেন 'এ ওয়েডনেস ডে', 'স্পেশ্যাল 26', 'বেবি', 'রুস্তম' 'নাম সাবানা'-র মত সুপারহিট সিনেমার পরিচালক। হাওড়ায় জন্ম নেওয়া এই পরিচালক বললেন, "এই দিনটা এলেই মন উদাস হয়ে যায়। একে মন মেজাজ ভাল নেই। সুশান্তের প্রসঙ্গ এলে মাঝেমধ্যে খেই হারিয়ে যাই। সেই পাঁচ বছর ধরে একই বিষয় নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি। আর ভাল লাগছে না। সুশান্ত নেই। ভাবতেই পারছি না। ওর বাবা এখনও পাগলের মত ব্যবহার করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর সত্যতা জানতে আজও ওর দিদি লড়াই করে যাচ্ছে।"
সেদিন দুপুরের দিকে খবরটা পেয়েই ধোনির বাড়িতে ফোন করেছিলেন? নীরজ একনাগাড়ে বলে গেলেন, "মাহি ভাইয়ের বাড়িতে ফোন করা ছাড়াও, ওর অন্তরঙ্গ বন্ধু অরুণ পান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলাম। সবার মনের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সুশান্ত আমাদের মধ্যে নেই। এটা মাহি ভাই এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না। ধোনির মতো মানুষ ভেঙে পড়েছিল।"
বায়োপিকে ধোনির চরিত্রে অভিনেতা বাছাই নিয়ে 'ক্যাপ্টেন কুল' ভীষণ খুঁতখুঁতে ছিলেন। তিনি গ্রীন সিগন্যাল দেওয়ার পরেই নাকি সুশান্তকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। নীরজ যোগ করলেন, "রিল লাইফে মহেন্দ্র সিং ধোনি হওয়ার জন্য ও একটানা ৯ মাস পরিশ্রম করেছিল। কিরণ মোরে স্যার আমাদের খুব সাহায্য করেন। সুশান্তের নিষ্টা দেখে মাহির মত কড়া ধাতের মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায়।"
রিল' লাইফের ধোনি অনেক আগেই নিঃশব্দে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন! বলিউড থেকে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। সবাই প্রিয় সুশান্তের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শোকবার্তা দিয়েছিলেন। তবে 'রিয়েল' মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এই পাঁচ বছরে কোনও শোকবার্তা পাওয়া যায় নি। এর কোনও বিশেষ কারণ? নীরজ একটু থেমে উত্তর দিলেন, "পরিবারের কেউ মারা গেলে সেই পরিবারের মাথা কখনও সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা জনসমক্ষে তে বার্তা দেয়! মনে রাখবেন ওর ভাই মারা গিয়েছে!"
মহেন্দ্র সিং ধোনি আগেও সবাইকে অবাক করেছেন। এবারও সবাইকে চমকে দিলেন। তাই তো তিনি সবার থেকে আলাদা।