এক্সট্রাটাইম নিউজ ডেস্ক : গত জানুয়ারিতেই ১০০'তে পা দিয়েছিলেন প্রথম শ্রেণির প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বসন্ত রাইজি। তিনিই ছিলেন দেশের বয়স্কতম জীবিত ক্রিকেটার। যদিও শনিবার তাঁর পথ চলা শেষ হল। চিরবিদায় নিলেন বসন্ত রাইজি। এদিন সকালে মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শচীন তেন্ডুলকরের অত্যন্ত এই প্রিয়পাত্র।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই কিংবদন্তি শচীন তেণ্ডুলকর ও স্টিভ ওয়া সদ্য প্রয়াত রাইজির জন্মদিন পালন করেছিলেন। দুই তারকাকে পাশে বসিয়ে ‘১০০’ লেখা কেক কেটেছিলেন রাইজি। তাঁর প্রয়াণের পর শচীন ট্যুইটারে লিখেছেন, "ওনার শততম জন্মদিন পালন করার জন্য এই বছর ওনার বাড়িতে গিয়েছিলাম। ক্রিকেটের প্রতি ওনার ভালবাসা, জ্ঞান ও প্যাশন'কে কুর্নিশ জানাই। ওনার প্রয়াণের খবর শুনতেই মনটা বড্ড খারাপ হয়ে আছে। তাই ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।"

তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের পত্তন দেখেছেন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের জিমখানার মাঠে প্রথমবার ভারত যখন টেস্ট খেলতে নামে, সদ্যমৃত রাইজি তখন ১৩ বছরের তরুণ। তারপর থেকে একে-একে ভারতীয় দলের উত্থান-পতন, সাফল্য-ব্যর্থতা সবকিছুই সাক্ষী থেকেছেন তিনি। এতগুলো বছরে ক্রিকেটের ধরন, নিয়মকানুন, স্টাইল, ফরম্যাট- অনেককিছুই বদলে গিয়েছে। তিনি সেগুলো দেখার পাশাপাশি একটা সময় চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯৩৯ সালে ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক ঘটান বসন্ত রাইজি। তবে তাঁর প্রথম ম্যাচ মোটেও স্মরণীয় নয়। প্রথম ইনিংসে শূন্যে ফেরার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১ রান করেন তিনি।

১৯৪০'এর দশকে ৯'টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন। করেছিলেন মোট ২৭৭ রান। সর্বোচ্চ ৬৮ রান। মুম্বই ও বরোদার জন্য খেলেছেন তিনি। লালা অমরনাথ, বিজয় মারচেন্ট, সিকে নায়ডু, বিজয় হাজারের মত কিংবদন্তিদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করেছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে ওঠায় ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘ হয়নি। তবে ক্রিকেট তাঁর ছিল প্রথম প্যাশন। তাই পরবর্তীকালে ইতিহাসবিদ হয়েএলপি জয়, সিকে নায়ডুর মত ক্রিকেটারদের নিয়ে বইও লিখেছেন। স্বভাবতই এমন মানুষের প্রয়াণের পর ভারতীয় ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।