কৃষক পরিবারের ছেলে, চোটে কেরিয়ার সংকটে - আজ রাজস্থানের ম্যাচ উইনার কার্তিক ত্যাগী

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম স্বাক্ষী থাকল ম্যাজিকের। শেষ ওভারে পাঞ্জাব কিংসের দরকার ছিল চার রান, হাতে আট উইকেট। ক্রিজে ছিলেন এইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরান। কিন্তু শেষ ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে রাজস্থান রয়্যালসের নয়া হিরো হলেন কার্তিক ত্যাগী।
২০ বছরের এই তরুণ পেসার যখন বল করতে এসেছিলেন, তখন পাঞ্জাবের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৯৯.২ শতাংশ। কিন্তু চার বল হওয়ার পর সেটি নেমে যা ৯০ শতাংশে, অন্তিম বলের ঠিক আগে জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৬২ শতাংশ। আর শেষ বলে বাজিমাত করে সমস্ত সম্ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন কার্তিক ত্যাগী।
উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার বাসিন্দা, কার্তিক এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন। অর্থের অভাবে কার্তিককে সঠিকভাবে ক্রিকেট অনুশীলনের সুবিধা দিতে পারেননি বাবা। ফলে বাবার জমিতে ফসলের বস্তা বয়ে নিয়ে যেতেন কার্তিক। তবে কার্তিকের বাবা কখনই তার ছেলেকে দিয়ে কৃষিকাজ করাতে চাননি, সব সময় চেয়েছেন ছেলে ক্রিকেট খেলুন।
এরপর ১৭ বছর বয়সে উত্তর প্রদেশের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে সুযোগ পান কার্তিক। তবে তার পরেই কঠিন চোটে আক্রান্ত হন তিনি। যার জেরে কেরিয়ার সংকটে এসেছিল। কিন্তু দারুণ প্রত্যয় দেখিয়ে ফিরে আসেন কার্তিক। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের জেরে ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে সুযোগ পান কার্তিক। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪/২৪ ফিগারের মাধ্যমে সকলের নজর কাড়েন কার্তিক।
এরপর আইপিএল ২০২০ নিলামে রাজস্থান রয়্যালস ১.৩০ কোটি টাকায় কেনে কার্তিককে। সেই বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অভিষেক করে চমক দেখান তরুণ এই পেসার, যেখানে তিনি কুইন্টন ডি ককের উইকেট নেন। সতীর্থ বেন স্টোকসের ভাষায়, কার্তিক হলেন ব্রেট লি ও ইশান্ত শর্মার মিশেল। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরে নেট বোলার হিসেবে সুযোগ পান কার্তিক।
এদিকে আইপিএল ২০২১ এর প্রথম পর্বে চোটের কারণে খেলতেই পারেননি। যতক্ষণ অবধি চোট থেকে সেরে ওঠেন, আইপিএল ২০২১ স্থগিত হয়ে যায়। আর এবার সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন কার্তিক।