সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! বিশ্বজয়ের ১৩ বছর পূর্তি....

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: সেদিন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল গোটা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। সারা দেশ, সারা ক্রিকেট বিশ্বের চোখ তখন সেদিকেই। মহেন্দ্র সিং ধোনির উড়িয়ে দেওয়া সাদা বলটা আকাশ দিকে ধেয়ে গিয়ে আছড়ে পড়ল যখন গ্যালারিতে, স্বপ্ন সত্যি হল ১৩০ কোটি ভারতবাসীর। আলতো করে ব্যাটটা ঘুরিয়ে নিলেন কোটি কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণের কারিগর। অপর প্রান্ত থেকে দু-হাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনের জন্য ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন যুবরাজ সিং।
কমেন্ট্রি বক্স থেকে গমগমে গলায় ভেসে আসা ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর কথাগুলো ঢেকে যাচ্ছে ওয়াংখেড়ের শব্দব্রহ্মে। অলিতে, গলিতে আতসবাজির রোশনাই, অকাল দীপাবলি। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান। ফের একবার যেন নতুন করে স্বাধীনতা পেল ভারতবর্ষ।
২০১১ সালের ২ এপ্রিল দিনটি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণক্ষরে লেখা রয়েছে। শচীনের স্বপ্ন, গম্ভীরের ধৈর্য, ধোনির অসাধারণ ফিনিশিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৮ বছর পর ওডিআই বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ভারত। দেখতে দেখতে বিশ্বজয়ের ১৩ টা বছর পার। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেদিন প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৭৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। কুমার সাঙ্গাকারার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস। রান তাড়া করতে নেমেই বিপত্তি।
বীরেন্দ্র সেওয়াগ ও শচীন তেন্ডুলকরের উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফাইনাল ম্যাচ হেরে যাওয়ার শঙ্কা তখন চেপে বসেছে। স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতকে ম্যাচে ফেরায় গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলির জুটি। বিরাট ৩৫ রানে আউট হয়ে যান। এরপর ভারতের ভরসা হয়ে নামেন ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গম্ভীরের ধৈর্যশীল ৯৭ রান ও মাহির ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ধোনির গগনচুম্বী ছয়ের কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গাঁথা হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাম নবমীর কারণে সূচি বদল! ইডেনে কবে রাজস্থান রয়্যালস বনাম কেকেআর ম্যাচ?
ফের একবার ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ফের একবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ভারতবাসীর। আপাতত লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এখন দেখার ক্যারিবিয়ানদের দেশে ভারত আবার বিশ্বসেরা হতে পারে কিনা।