বাবার প্রবল অনিচ্ছা, খুঁজেছেন অজয় রাত্রা - ইতিহাস গড়া সাকিবুল গনির যাত্রা ছিল রোমাঞ্চে ভরা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : রঞ্জি ট্রফিতে ইতিহাস গড়েছেন বিহারের ক্রিকেটার ২২ বছরের সাকিবুল গনি। শুক্রবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মাঠে মিজোরামের বিরুদ্ধে ত্রিশতরান করেন গনি। আর এর জেরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট অভিষেকে ত্রিশতরান করেন গনি। ৪০৫ বলে ৩৪১ রান করেন গনি।
তবে গনির ক্রিকেটে আগমণ হয়েছে নানা বাধা পেরিয়ে। বাবা মহম্মদ মানন গনি কখনই চাননি ছেলে ক্রিকেট খেলুক। কিন্তু বড় ভাই ফয়জল গনি বাবার নির্দেশ অমান্য করে ছোট ভাইকে ক্রিকেটে নিয়ে আসেন।
এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে ফয়জল বলেছেন, "আমাদের ছোট্ট জমি রয়েছে, আর আমাদের বাবা চাইতেন আমরা হয় লেখাপড়া করি বা চাষাবাদে সাহায্য করি। কিন্তু ওনারও এসব ভাবার কারণ রয়েছে, শেষ কবে আপনি শুনেছেন যে বিহারের কোনও ক্রিকেটার ভালো জায়গায় গিয়েছেন।"
এরপর বাবার নির্দেশ অমান্য করে ভাইকে ক্রিকেটে এনেছেন ফয়জল। ১৫ বছর ধরে সাকিবুলকে তৈরি করেছেন ফয়জল। এই নিয়ে ফয়জল বলেছেন, "ভিজি ট্রফিতে আমি পূর্বাঞ্চলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু আমায় ক্রিকেট ছাড়তে হয়েছিল কারণ বিহারে কোনও ভবিষ্যৎ ছিল না। আমি ক্রিকেট ছাড়লেও, আমি খেলার রেখেছি যাতে সাকিব কোনও অনুশীলন সেশন মিস না করে। আমি তারপর সিদ্ধান্ত নিই যে আমি ওকে রাঁচি পাঠাব যাতে ও ঝাড়খন্ডের হয়ে খেলতে পারে।"
এরপর সিকে নায়ডু ট্রফিতে বিহারের সিলেকশন ক্যাম্পে সাকিবুল গনির প্রতিভাকে চিহ্নিত করেন তৎকালীন বিহার অনুর্ধ্ব ২৩ কোচ ও ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার অজয় রাত্রা। আর সেই টুর্নামেন্টে ৫৭.০৮ গড়ে দুটি শতরান সহ ৬৮৫ রান করেছেন গনি।
বর্তমানে আসাম রঞ্জি দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রাত্রা বলেছেন, "আমার নজরে যেটি আসে তা হল ওর ভয়ডরহীন স্ট্রোকপ্লে। বাকিদের থেকে ও একেবারে আলাদা ছিল। আমি মুহুর্তের মধ্যেই স্থানীয় সার্কিটে ওর স্কোর দেখছিলাম। ও প্রথম ছয়ে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারে।"