কেন দ্রুত আলোচনায় বসছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল? জানতে পড়ুন...

এক্সট্রাটাইম নিউজ ডেস্ক : চাপ বাড়তেই অবস্থান বদলে ফেলল বিসিসিআই। আইপিএলের মূল স্পনসর হিসেবে চীনা কোম্পানি ভিভো'কেই রাখা হবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই বলেছিলেন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল। তাঁর দাবি ছিল, চীনের সংস্থা থেকে আসা অর্থ, ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোষাধ্যক্ষের সেই দাবি থেকে অনেকটাই সরে এল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
শুক্রবার রাতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের তরফে টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইপিএলের স্পনসরশিপ রিভিউ করা হবে। আগামী সপ্তাহে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল এক বৈঠকে আলোচনা করবে এই ব্যাপারে।" এর কয়েকঘন্টা পরে আইপিএলের সেই ট্যুইট'কে 'রি-ট্যুইট' করে বিসিসিআই। ফলে এতেই পরিষ্কার, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে চীন-বিরোধীতার ব্যাপারটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ডও মাথায় রাখছে।
শোনা যাচ্ছে ভিভো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পেটিএম, ড্রিম ইলেভেনের মত আইপিএলের অন্য যে স্পনসরগুলোয় চীনা কোম্পানির বিনিযোগ রয়েছে, সেগুলো নিয়েও কথাবার্তা হবে। পেটিএম আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের 'টাইটেল রাইটস হোল্ডার'। পাঁচ বছরের জন্য চুক্তির মূল্য ৩২৬ কোটি টাকা। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে যে, আইপিএলের সেন্ট্রাল স্পনসরদের কিছু অর্থ চীন থেকে আসে। এগুলো নিয়েই আলোচনা হবে।
যদিও বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল আগে বলেছিলেন, "আবেগ দিয়ে ভাবলে অনেক সময়ই যুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমাদের বুঝতে হবে যে, চীনের স্বার্থে চীনের সংস্থাকে সাহায্য করা আর ভারতের স্বার্থে চীনের অর্থনীতির সাহায্য নেওয়ার মধ্যের তফাত রয়েছে। আমরা যখন চীনের কোনও সংস্থাকে ভারতে পণ্য বিক্রির অনুমতি দিচ্ছি, তখন ওরা ভারতীয় ক্রেতার থেকে অর্থ নিয়ে চলে যাচ্ছে। তারই কিছুটা ওরা এখানে বোর্ডকে দিচ্ছে। আর বোর্ড আবার সেই অর্থের ৪২ শতাংশ কর হিসেবে সরকারকে দিচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থই রক্ষিত হচ্ছে, চীনের নয়।"
অবশ্য বোর্ড আগেই জানিয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও নির্দেশ এলে সেটা মেনে চলা হবে। তাই প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্র সরকারের থেকে কোনও নির্দেশ আসার পরেই কি আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকে বসছে?