বাঙালি ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ কী? | পর্ব- ১

সাইফ: বাঙালি ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ কী? প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, প্রণয় হালদার এমন হাতে গোনা কয়েকটি নাম এটিকের জার্সিতে খেলছেন। আইএসএলে বাঙালি ফুটবলারদের কথা বাদ দিন, ভারতীয় ফুটবলারদের অবস্থা সঙ্গীন! বেকারত্ব যেমন জাতীয় সমস্যা,এই ফুটবল মাঠের ব্যাপারটাও তেমনই। ৬ জন বিদেশি সই করিয়ে ৫ জন খেলতে পারবেন আইএলএল এবং আই লিগেও। প্রতিটা দলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি যেমন স্টপার, ডিফেন্সিভ ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ড ও ফরোয়ার্ড পজিশন বিদেশিদের জন্যে নির্দিষ্ট রাখছে দলগুলি। বাকি ৬ পজিশন শিকে ছিঁড়ছে ভারতীয়দের জন্যে। এক্ষেত্রে পড়ে থাকছে সাইডব্যাক, উইং বা গোলরক্ষক পজিশন। ভারতীয়দের জন্যে কর্মী সঙ্কোচন অব্যাহত। ঠিক একারনেই জাতীয় দলের ফুটবলারদের কোয়ালিটিতে এফেক্ট পড়ছে অনিবার্য ভাবে। জাতীয় দলের অনেক নিয়মিত ফুটবলার জাতীয় দলে যে পজিশনে খেলেন দেশের একনম্বর লিগে যে ক্লাবে খেলেন সেখানে প্রিয় পজিশনটা পাননা।
আই লিগ বা আইএসএল যাই বলুন, ভিন রাজ্যের দল গুলিতে বঙ্গসন্তানরা ব্রাত্যই। আমাদের কলকাতার তিন দলের মধ্যে এটিকের কথাতো বললামই যদি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের দিকে তাকান দেখবেন সেখানেও গুটি কয় নাম। বলার মত বুক চিতিয়ে খেলছেন মোহনবাগানের শেখ সাহিল সঙ্গে শঙ্কর রায়, নাম উঠে এসেছে শুভ ঘোষের। শেখ ফইয়াজ, আজহারউদ্দীন মল্লিক, সোরাবুদ্দিনরা খেলতে না পেরে পরের বছরে কোন দল পাবেন তা কিন্তু অনিশ্চিত। আরে তোমার বাগানের সব্জি যদি বাজারে না নিয়ে যেতে পারো, কেউ কি কিনবে তোমার সব্জি? ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে পিণ্টু মাহাতো, সামাদ আলি মল্লিক, অভিজিৎ সরকার, মনোজ মহম্মদ ব্যাস সংখ্যা গুলি এখানেই শেষ। বেশিরভাগ আবার প্রথম একাদশে জায়গা পাননা।
কলকাতার ক্লাব ফুটবলে ঠিকঠাক আর্থিক জোগান রয়েছে এই তিন দলেই। মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ভালো পেমেন্ট পাননা অনেকেই। তবুও সাদাকালোয় সুযোগ পেয়েছেন পিয়ন্ত সিং, তীর্থঙ্কর সরকার, ফিরোজ আলির মত গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা। প্রথম এগারোয় অর্ধেকের বেশি বাঙালি ফুটবলার খেলেন কিন্তু মাসিক রোজগারের হিসেবে সাদাকালো জার্সির ফুটবলাররা সবাই স্বাবলম্বী নন নিশ্চিত, অর্থাৎ ফুল প্রফেশনাল ফুটবল খেলা সম্ভব নয়। একটি স্পনসরহীন দলের পক্ষে সবটা করাও সমস্যার। তার মধ্যে থেকে কামারুদ্দিন,দিপেন্দু বিশ্বাস, বেলাল আহমেদরা লড়াই করে যাচ্ছেন।মহমেডানের মত ইউনাইটেড স্পোর্টসের কথা যদি বলেন, সেখানে বাঙালি ফুটবলার রয়েছেন অনেকটা শোকেসের মত। এখানে ভালো খেললে বড় দল গুলি ডাকবে।
ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও গল্পটা প্রায় একই। এই দুই ক্লাবে ভালো খেললে ডাকবে আই এস এলের দল। অর্থাৎ বাংলার দুই প্রধান এখন ভারতীয় ফুটবলের শো রুম। দেখুন না, জবি জাস্টিনের মত ফুটবলারকে এটিকে নিয়ে কেমন সাধারন ফুটবলারের মত ব্যাবহার করছে। জবি নিয়মিত নন। এই অবস্থায় এটিকে মোহনবাগান মিশে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কতজন মোহন ফুটবলারের ভাগ্য শিকে ছেঁড়ে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আই লিগ জিতলেও এমন কি দল আই এস এল খেললেও নিজেদের উত্তরনে নিয়ে যেতে পারবেন না শেখ সাহিল বা বেইতিয়া। এটিকের বিদেশি কোটা প্রায় সম্পূর্ণ বেইতিয়া, পাপা বাবাকার বা ফ্রান গঞ্জালেসের মত নজর কাড়া ফুটবলার যখন জায়গা পাচ্ছেন না প্রায় নিজের দলে, তখন মরসুমের বিস্ময় শেখ সাহিল কী করবেন?
এটিকে আর মোহনবাগানের মিলনে ফুটবলারের স্কোপ কিছুটা কমবে। কর্মক্ষেত্রের ভাষায় ‘কাজের মার্কেট ভালো না!’ যার পরেই আসবে বেকারত্ব। ঠিক একারনেই বাংলার বুকে বাঙালি ফুটবলার কমছে। থাকলেও কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তারা? এ বিষয়ে অবশ্যই লিখব... চলবে।
সাইফঃ বাঙালি ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ কী? প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, প্রণয় হালদার এমন হাতে গোনা কয়েকটি নাম এটিকে'র জার্সিতে খেলছেন। আইএসএলে বাঙালি ফুটবলারদের কথা বাদ দিন, ভারতীয় ফুটবলারদের অবস্থা সঙ্গীন, হাতে গোণা! বেকারত্ব যেমন জাতীয় সমস্যা, এই ফুটবল মাঠের ব্যাপারটাও তেমনই। ৬ জন বিদেশি সই করিয়ে ৫ জন খেলতে পারবেন আইএসএল এবং আই লিগ দুটি সেরা লিগেই। প্রতিটা দলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি যেমন স্টপার, ডিফেন্সিভ ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ড ও ফরোয়ার্ড পজিশন বিদেশিদের জন্যে নির্দিষ্ট রাখছে দলগুলি। বাকি ৬ পজিশনে শিকে ছিঁড়ছে ভারতীয়দের জন্যে। এক্ষেত্রে পড়ে থাকছে সাইডব্যাক, উইং বা গোলরক্ষক পজিশন। ভারতীয়দের জন্যে কর্মী সঙ্কোচন অব্যাহত। ঠিক এ কারণেই জাতীয় দলের ফুটবলারদের কোয়ালিটিতে এফেক্ট পড়ছে অনিবার্য ভাবে। জাতীয় দলের অনেক নিয়মিত ফুটবলার জাতীয় দলে যে পজিশনে খেলেন তাঁরা যখন দেশের একনম্বর লিগে যে ক্লাবে খেলেন সেখানে প্রিয় পজিশনটা পান না।
আই লিগ বা আইএসএল যাই বলুন, ভিন রাজ্যের দল গুলিতে বঙ্গসন্তানরা ব্রাত্যই। আমাদের কলকাতার তিন দলের মধ্যে এটিকে'র কথা তো বললামই । যদি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের দিকে তাকান দেখবেন সেখানেও গুটিকয় নাম। বলার মত বুক চিতিয়ে খেলছেন মোহনবাগানের শেখ সাহিল সঙ্গে শঙ্কর রায়, নাম উঠে এসেছে শুভ ঘোষের। শেখ ফইয়াজ, আজহারউদ্দিন মল্লিক, সোরাবুদ্দিনরা খেলতে না পেরে পরের বছরে কোন দল পাবেন তা কিন্তু অনিশ্চিত। তোমার বাগানের সব্জি যদি বাজারে না নিয়ে যেতে পারো, কেউ কি কিনবে তোমার সব্জি? ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে পিণ্টু মাহাতো, সামাদ আলি মল্লিক, অভিজিৎ সরকার, মনোজ মহম্মদ- ব্যাস সংখ্যা গুলি এখানেই শেষ। বেশিরভাগেরা আবার প্রথম একাদশে জায়গা পান না। কলকাতার ক্লাব ফুটবলে ঠিকঠাক আর্থিক জোগান রয়েছে এই তিন দলেই। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ভাল পেমেন্ট পান না অনেকেই। তবুও সাদাকালোয় সুযোগ পেয়েছেন পিয়ন্ত সিং, তীর্থঙ্কর সরকার, ফিরোজ আলির মত গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা। প্রথম এগারোয় অর্ধেকের বেশি বাঙালি ফুটবলার খেলেন কিন্তু মাসিক রোজগারের হিসেবে সাদাকালো জার্সির ফুটবলাররা সবাই স্বাবলম্বী নন নিশ্চিত, অর্থাৎ ফুল প্রফেশনাল ফুটবল খেলা সম্ভব নয়। একটি স্পনসরহীন দলের পক্ষে সবটা করাও সমস্যার। তার মধ্যে থেকে কামারুদ্দিন, দীপেন্দু বিশ্বাস, বেলাল আহমেদরা লড়াই করে যাচ্ছেন। মহামেডানের মত ইউনাইটেড স্পোর্টসের কথা যদি বলেন, সেখানে বাঙালি ফুটবলার রয়েছেন অনেকটা শো-কেসের মত। এখানে ভাল খেললে বড় দল গুলি ডাকবে। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও গল্পটা প্রায় একই হয়ে উঠেছিল চলতি বছর পর্যন্ত। এই দুই ক্লাবে ভাল খেললে ডাকবে আইএসএলের দল। অর্থাৎ বাংলার দুই প্রধান এখন ভারতীয় ফুটবলের শো-রুম। দেখুন না, জবি জাস্টিনের মত ফুটবলারকে এটিকে নিয়ে কেমন সাধারণ ফুটবলারের মত ব্যবহার করছে। জবি নিয়মিত নন। এই অবস্থায় এটিকে মোহনবাগান মিশে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কতজন মোহন ফুটবলারের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আই লিগ জিতলেও এমন কি দল আইএসএল খেললেও নিজেদের উত্তরণে নিয়ে যেতে পারবেন না শেখ সাহিল বা বেইতিয়া। এটিকে'র বিদেশি কোটা প্রায় সম্পূর্ণ। বেইতিয়া, পাপা বাবাকার বা ফ্রান গঞ্জালেসের মত নজর কাড়া ফুটবলারদের যখন জায়গা নেই নিজের দলেই, তখন মরসুমের বিস্ময় শেখ সাহিল কী করবেন?
এটিকে আর মোহনবাগানের মিলনে ফুটবলারদের স্কোপ কিছুটা কমবে। কর্মক্ষেত্রের ভাষায় ‘কাজের মার্কেট ভাল না!’ যার পরেই আসবে বেকারত্ব। ঠিক এ কারণেই বাংলার বুকে বাঙালি ফুটবলার কমছে। থাকলেও কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তারা? এ বিষয়ে অবশ্যই লিখব... চলবে...