নকআউট পাঞ্চের পরেও সৌভ্রাতৃত্ব! দুই বক্সারের স্পোর্টিং স্পিরিটে উজ্জ্বল টোকিও অলিম্পিক

অনিলাভ চ্যাটার্জি, টোকিও : হয়ত এই কারণে ক্রীড়া সবার উপরে। যুদ্ধ-রাজনীতি-বিনোদনের অনেক উপরে হল ক্রীড়া। কারণ এই ক্রীড়া কোনও বাধা মানে না, না মানে কোনও সীমানা। আর এর বড় উদাহরণ মেলে অলিম্পিকে, যখন বিশ্বের অসংখ্য নামী-অনামী, ছোট-বড় দেশগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েও নিজেদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকে।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সৌভ্রাতৃত্ব - স্পোর্টিং স্পিরিটের অন্যতম দুটি বড় অঙ্গ হিসেবে উপস্থাপিত হয়। আর সেই নজিরই ঘটল টোকিও অলিম্পিকে। রবিবার পুরুষদের মিডলওয়েটের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন ফিলিপিনের ইউমির মারসিয়াল এবং আর্মেনিয়ার আরমান দারচিনয়ান। আর সেই লড়াই কার্যত একপেশেভাবে জেতেন মারসিয়াল।
ফিলিপিনো এই বক্সার প্রথম রাউন্ডের ৪৯ সেকেন্ড বাকি থাকতে আরমানকে রাইট হুক পাঞ্চ মেরে নকআউট করে দেন। আর এর জেরে সেমি ফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করেন মারসিয়াল। নকআউট পাঞ্চ খেয়ে কার্যত হুঁশ উড়ে গিয়েছিল আর্মেনিয়ান বক্সারের।
কিন্তু এরপরেই উঠে আসে আসল ছবি। বাউটের পর মারসিয়াল তুলে ধরেন দারচিনয়ানকে। আর তারপর দুজনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সৌভ্রাতৃত্বের নজির দেখান। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে। আর সেই ছবি নিঃসন্দেহে মনকে ভালো করে দেওয়ার মত।
সত্যিই, ক্রীড়াতেই এমনটা সম্ভব। নকআউট পাঞ্চের পরে সৌভ্রাতৃত্ব - এমনটা আর কোনও ক্ষেত্রস্থলে ঘটতে পারে। একমাত্র ক্রীড়াতেই সম্ভব, অলিম্পিকেই সম্ভব।