অলিম্পিকের সোনার পদক ভাগাভাগি! বন্ধুত্বের নিদর্শনের নজির তৈরি হল টোকিওতে

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক অলিম্পিক ভ্রাতৃত্বের কথা বলে। চলতি অলিম্পিকেও বলল। দুটি মানুষ দুটি দেশের, দুটি মহাদেশের। দুজন একে অপরের প্রতিপক্ষ! অথচ দুজনে একসাথে গড়লেন ইতিহাস। সেরা হয়ে নয় বরং শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনের ভাগ অন্যজনকে দিয়ে।
ঘটনাটি ঘটলো এবারের টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের হাইজাম্প ইভেন্টে। ফাইনালে ইতালির জিয়ান মার্কো টইম্পবেরির মুখোমুখি হয়েছিল কাতারের মুতাজ এসসা বারশিম। দুজনেই ২.৩৭ মিটার লাফায়। অলিম্পিক কর্মকর্তারা তাদেরকে আরও তিনটি সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা কেউই ২.৩৭ মিটারের বেশি লাফাতে পারেননি।
কিন্তু ইতালির টইম্পবেরি পায়ে গুরুতর আঘাতের কারণে শেষ চেষ্টা থেকে সরে আসেন। মুহূর্তেই বারসিমের সামনে অন্য কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। তিনি সহজেই স্বর্ণপদকটি নিজের নামে করতে পারতেন। কিন্তু বারসিম কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করেন, "যদি আমি চূড়ান্ত প্রচেষ্টা থেকে সরে আসি তাহলে স্বর্ণপদকটি আমাদের দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি হতে পারে কি?"এই কথায় অফিসিয়ালরা ভেবে দেখেন এবং নিশ্চিত করেন তাহলে স্বর্ণপদকটি দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি করা হবে। অলিম্পিকের স্পিরিট রক্ষিত হল এই সিদ্ধান্তে, এবং বারসিম শুধু সোনা জিতলেন না, মানুষের হৃদয় জিতে নিলেন।
এটা দেখে ইতালির প্রতিপক্ষ টইম্পবেরি দৌড়ে গিয়ে বারসিমকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে ওঠেন! এই ঘটনা খেলার প্রতি একটি খেলোয়াড়ের অসীম ভালোবাসা ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রকাশ, যা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে। এই ঘটনা একটি ক্রীড়াবিদের অবর্ণনীয় ক্রীড়া মনোভাবকে প্রকাশ করে যা জাতি,ধর্ম এবং সমস্ত সীমানাকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলে! টোকিও আমাদের শিখিয়ে গেল ত্যাগেই সুখ!