পদক জয় নিয়ে নেই চিন্তা, মেয়ে ঠিকমতো খেয়েছে তো! চিন্তায় ছটফট করছেন মনু ভাকারের মা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : কিশোর শুটার মনু ভাকার এর বাড়ি হরিয়ানার চরখি দাদরি যেটি মঙ্গলবার সকালে নির্জন ছিল। মনু ও তার সতীর্থ সৌরভ চৌধুরী পদক রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় ভাকার ভবন (মনুর বাড়ি) এর পাশে কোন প্রেস ওবি ভ্যান, ফটোগ্রাফার বা রিপোর্টারকে দেখা যায়নি।সোমবার সন্ধ্যা থেকে মনুর বাবার মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায় হতাশায় তবে তার বাড়িতে গেলে তার মা সাংবাদিককে দেখে বলেন, "আমরা খুব আনন্দিত যে কমপক্ষে একজন ব্যক্তি আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছে মনু জিততে না পারায় কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বিদ্রূপের সুরে বলেন তবে এখন কি লিখবেন।"
মনুর মা বাবা কয়েকদিন ধরে ঘুমোতে না পারায় ক্লান্তি তাদের চোখে স্পষ্ট দেখা যায়। মনু সৌরভ বিশ্বকাপে একাধিক স্বর্ণপদক পাওয়ায় অলিম্পিকে তাদের প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। এই ফলের পরে মনুর মা বলেন, "আমরা গত কয়েকদিন ধরে ঘুমোতে পারিনি এবং খাবারও ঠিকমতো খেতে পারিনি। আমাদের কাছে পদক নয় বরং আমার মেয়ের সুখটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঘরে বসে কোন পদক নিয়ে কথা বলি না।"
১৯ বছরের এই তারকা (মনু ভাকার) শুটারের টোকিওতে শুরুটা ভালো হয়নি তার এই প্রথম অলিম্পিকের দুদিন আগে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে তিনি বাছাইপর্বে ১২ তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তিনি বলেন প্রযুক্তিগত অসুবিধা কারণে তিনি খুব বিচলিত ছিলেন, পিস্তল দিয়ে করা ভুলটি ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং তিনি আরও বলেন সেদিন তার ভাগ্য সঙ্গ দেয় নি এবং দুর্ভাগ্য চিরকাল স্থায়ী হয় না এবং তিনি অবশ্যই একটি অলিম্পিক পদক পাবেন।
বাবা রামকিষণ ভাকার বলেন , "টোকিওতে এখনো মনুর পক্ষে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। তিনি মনে করেন ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে মনু যথেষ্ট শক্তিশালী।" মনুর পরবর্তী ইভেন্টের ফলাফল যাই হোক না কেন তাঁর বাবা রাম কিষাণ চান মনু তাঁর চাচাতো ভাইদের সঙ্গে সময় কাটাক। মঙ্গলবার শ্যুটিংয়ের যোগ্যতা অর্জন পর্বের রাউন্ডগুলি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি৷ তবে মনুর মা সুমেধা টেলিভিশন অন করেন না, তিনি অপেক্ষা করেন লোকেরা তাঁকে এসে তাঁর মেয়ের খবর জানাক। তবে এই ধরনের খবর তাকে শুনতে হোক তিনি তা চাননি।
বাড়িতে কোনও চাপ নেই। মানু যখনই কোনও প্রতিযোগিতা থেকে ফিরে আসে, কিছুদিন বাড়িতে খেলাধুলা নিয়ে আলোচনা হয় না। আর এবারো তাঁর অন্যথা হবে না। রাম কিশান (মনুর বাবা) বলেন, “সে যখনই প্রতিযোগিতা থেকে ফিরে আসে তখন আমরা কখনই তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করি না। সে আমাদের প্রতি মিনিটে বিশদ বিবরণ জানায়।"