XtraTime রিপোর্ট : গোয়েঙ্কার রাস্তাতেই হাঁটছেন বাঙুর, টুটু বসু হতে পারবেন কি নীতু সরকার?

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : সবটাই ছবির মত পরিষ্কার, অথচ বুঝেও বুঝছেন না কেউ কেউ। কেন, কে জানে? একটি বাংলা সংবাদপত্রে শ্রী সিমেন্ট কর্নধার হরি মোহন বাঙুর সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, "মোহনবাগানে যদি সদস্য সমর্থকদের স্বার্থ বিঘ্নিত না হয়, তাহলে ইস্টবেঙ্গলে কেন হবে?" জলের মত পরিষ্কার যে, সদস্য সমর্থকদের স্বার্থের ব্যাপারে সদর্থক মতামত আছে তার।
অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা যা আশঙ্কা করছেন, যা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, সবটাই অমূলক। তাহলে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চিন্তা কোথায়? এবার তো তাদের অভিসন্ধি নিয়েই প্রশ্ন করতে হয়। এবং যেখানে হরি মোহন বাঙুরের মত ব্যক্তিত্ব সম্পর্কের দিন নির্দেশ করে দিচ্ছেন।
হ্যাঁ মোহনবাগান, মডেল মোহনবাগান। সেটাই বলছেন শ্রী বাঙুর। সেখানে চুক্তি নিয়ে জটিলতা হয়নি। সম্পর্ক নিয়েও জটিলতা হয়নি। তাহলে মোহনবাগান-এটিকের চুক্তিপত্রই হতে পারে সরল সমীকরণ। বাঙুর কর্তার বার্তায় পরিষ্কার, লাল-হলুদ সদস্য সমর্থকদের স্বার্থ মোহনবাগানীদের মত সুরক্ষিত করতে তিনি দায়বদ্ধ। সুতরাং মোহনবাগান মডেলের চুক্তিপত্রেও তার আপত্তি নেই। এবার দেখার ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কীভাবে সাড়া দেন। সেটি নিয়েও যদি তাদের আপত্তি থাকে, বুঝতে হবে অভিসন্ধিই খারাপ।
যে কোনও নতুন আইন প্রণয়ন কিংবা আইনি সিদ্ধান্তের আগে রেফারেন্স হিসেবে দেখা হয় আগের কোনও সফল ধারা কিংবা সিদ্ধান্তকে। চুক্তিপত্রের ক্ষেত্রেও তাই। বিভিন্ন বানিজ্যিক সংস্থাই কোন মডেল চুক্তিপত্রকে সামনে রেখে তাদের চুক্তিপত্র তৈরি করে। কর্পোরেট দুনিয়ায় এটি নতুন কিছু নয়।
হরি মোহন বাঙুর কর্পোরেট জগতের কিংবদন্তী মানুষ। তার এসব অজানা নয়, এবং এদিনের সাক্ষাৎকারে তার অভিসন্ধিও পরিষ্কার যে তিনি মোহনবাগানের মতই স্বার্থের অধিকার দিতে চান ইস্টবেঙ্গল সদস্য সমর্থকদের। তাই মোহনবাগানের মডেল চুক্তিপত্রেও নিশ্চই তার কোনও সমস্যা হবে না। এখন ইস্টবেঙ্গলের ক্ষমতা দখল রাখা কর্মকর্তারা কি ভাবছেন, সেটাই দেখার।