বেনজিমার হ্যাটট্রিকে ছারখার পিএসজি, এগিয়ে গিয়েও শেষ আটে যেতে পারল না তাঁরা

এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক : শুরুটা পিএসজির হলে শেষটা অবশ্যই রিয়ালের। কথাতেই আছে 'যার শেষ ভালো তার সব ভালো', কথাটা যে কতটা সত্যি তা বুধবার মাঝরাতের ম্যাচে বোঝা গেল। দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ শুরুর আগেই খানিকটা এগিয়ে ছিল পিএসজি। কারণ প্রথম পর্বের ম্যাচে ১-০ গোলে রিয়ালকে হারায় তারা। কিন্তু ঘরের মাঠে দর্শক ঠাসা স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদ যে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে তা আবারও প্রমাণিত হল।
প্রথমার্ধের শুরুতে যেন প্রতিপক্ষকে খানিকটা মেপে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ দল। সেই সময় বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়ে গেছিল পিএসজি। ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোলকিপারকে একা পেয়ে যান এমবাপে কিন্তু বল মারেন তার হাতে, ১২ মিনিতেও সেই এক জিনিস। এরপরেই লুকা মদ্রিচের নেতৃত্বে খেলায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। আক্রমন প্রতি আক্রমণে খেলা বেশ জমে ওঠে। এরই মধ্যে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এমবাপের করা গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। কিন্তু এরপরের সুযোগটা কিন্তু হাতছাড়া করেননি তিনি, নেইমারের অসাধারন ডিফেন্স চেরা পাস ধরে গোল করে যান তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হয়।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে যেন এক অন্য রিয়াল মাদ্রিদ, তারা যেন হাফ টাইমে ড্রেসিংরুমে ঠিক করে এসেছিল যে, যেকোনো মূল্যে ম্যাচ তাঁদের জিততে হবে। মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হতে থাকে পিএসজি ডিফেন্স। এরই মাঝে খেলার বিপরীতে এমবাপে আরও একটি গোল করে ফেলেছিলেন কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সেই গোলটিও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। এটাই হয়ত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করলেও দ্বিতীয়ার্ধে সেই ভুল কিন্তু আর করেননি বেনজিমা। ৬১ মিনিটে পিএসজির এক ডিফেন্ডারের ভুল ব্যাক পাসকে দেখে তিনি সেটাকে তারা করেন, গোলকিপার বল সামলাতে না পারলে ভিনিশিয়াস সেই বলটিকে আবার বেনজিমাকে দিলে গোল করে যান তিনি। ৭৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস থেকে তিনি তার দ্বিতীয় গোল করে যান। তখন সবাই ভেবেছিল ম্যাচ হয়ত অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত হবে, কিন্তু মাঠটা যে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ, সমর্থকও তাদের, সেই গর্জনে যেন জ্বলে উঠল সাদা জার্সিরা, দ্বিতীয় গোলের দু-মিনিট পর অর্থাৎ ৭৮ মিনিটেই পিএসজির ডিফেন্স ফেরত বলকে আউট স্টেপে গোলে ঢুকিয়ে পিএসজির কফিনে শেষ পেরেক পোতার পাশাপাশি নিজের হ্যাটট্রিকটাও সম্পন্ন করেন।
সারা ম্যাচে মেসিকে তেমন কার্যকরী লাগেনি। মাঝমাঠে কয়েকটি বল বাড়ানো ছাড়া আর চোখেই পড়েননি তিনি। প্রথমার্ধে মেসি নেইমার এমবাপে জুটিকে ভয়ঙ্কর লাগলেও দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত রক্ষণ মানসিকতা তাদের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ালো।