পরিত্রাতার নাম ক্লেইটন! হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : গত মরশুমে যখন তাঁর দল একের পর এক ম্যাচ নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগিয়ে চলেছিল ঠিক তখনই পরিত্রাতার রূপে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন ক্লেইটন ডি সিলভা। তবে নতুন মরশুমে সেই ক্লেইটন ম্যাজিক কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছিল। গত মরশুমের নায়ক এই মরশুমে প্রথম একাদশেও খেলতে পারছিলেন না। তবে অবশেষে তিনি ফিরলেন, এবং অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে লাল হলুদ সমর্থকদের জানান দিয়ে গেলেন যে 'লাল-হলুদের পরিত্রাতার নাম এখনও ক্লেইটন'।
আইএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ২-১ ফলাফলে জয়ী ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করার পরেও ম্যাচে ফিরে আসে লাল হলুদ ব্রিগেড। এবং দলের হয়ে দুটি গোলই করেন ক্লেইটন।
শুরু থেকে হায়দরাবাদ ও ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের পথেই হাঁটে। থাংবোই সিংটো কোচ হলেও কনর নেস্টরের মাথাই যেন হায়দরাবাদের খেলায় ফুটে উঠেছে। আর সেই অফুরন্ত পাসিংয়ের সৌজন্যে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ। ৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে জোসেফ নোলেসের পাস শৌভিক চক্রবর্তীর পায়ে লেগে চলে যায় হিতেশ শর্মার কাছে, যিনি গোল করতে কোনও ভুল করেননি।
তবে ইস্টবেঙ্গল পালটা জবাব দিতে দেরি করেনি। ১০ মিনিটে নিশু কুমারের ভাসানো বল পেয়ে বক্সে এগিয়ে যান বোরহা হেরেরা, সেই সময় গোলকিপার লক্ষ্মীকান্থ কাট্টিমনি তাকে ফেলে দেন। তবে সুযোগ পেয়ে সুন্দর চিপ করে বল গোলে ঢোকান ক্লেইটন সিলভা।
এরপর মাঝমাঠ থেকে একাধিক পাস খেলে হায়দরাবাদ ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স খোলার চেষ্টা করে। জোয়াও ভিক্টর ও সাহিল তাভোরারা মাঝমাঠ রাজত্ব করছিল কার্যত।
তবে প্রতি আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল একাধিকবার বিপদ তৈরি করছিল। সল ক্রেস্পো, বোরহা হেরেরা ও নাওরেম মহেশ সিং একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল।
ম্যাচের শেষ দশ মিনিট গোলের জন্য ঝাঁপায় হায়দরাবাদ দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের সময় যত গড়ায় খেলোয়াড়দের মধ্যে তাপ-উত্তাপও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ম্যাচের ৮৫ মিনিটের সময় ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক গিল এবং হায়দরাবাদের জোয়াও ভেক্টর এবং অ্যারেন ডি সিলভা হলুদ কার্ড দেখেন।
নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের খুব কাছে পৌঁছে যান ইস্টবেঙ্গলের সিভেরিও। নিশু কুমারের ভাসানো বল বক্সের ভিতর হেড করলেও একটুর জন্য গোল পাননি সিভেরিও।
৯৩ মিনিটে আরও একবার লাল হলুদ ব্রিগেডের পরিত্রাতার রূপে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন ক্লেইটন সিলভা। ক্লেইটনের অসাধারণ ফ্রিকিকে ২-১ ফলাফলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও এরপর চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এরপর ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা গোলের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ম্যাচ শেষ হয় ২-১ ফলাফলেই।